কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর কার্যকরী উপায় বাস্তব উদাহরণসহ
আপনি কি কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় খুঁজছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে কম্পিউটার স্লো হলে কি কি করতে হয় সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কম্পিউটার একটি আধুনিক যন্ত্র তাই এটি যত্ন না নিলে স্লো হবে এটিই স্বাভাবিক, তাই জন্য আজকের এই পোস্টে কম্পিউটার স্লো হলে কিভাবে তার স্পিড বাড়াবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় গুলো জানুন
- কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায়
- কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারণ
- কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডিলিট করুন সঠিক নিয়ম
- কিছু অপ্রয়োজনীয় এক্সট্রা ফাইল ডিলিট করুন কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে
- কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন
- কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর জন্য সঠিক ব্রাউজার সিলেক্ট করুন
- কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন
- কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে এবং হ্যাং কমাতে পিসির ফ্যান চেক করুন
- কম্পিউটারের কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় এমন কিছু জিনিসপত্র
- কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে আমি নিজে যা করেছি আমার কম্পিউটারের সাথে
- সবশেষে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ
কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায়
কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পূর্বে তার বেসিক ধারণা নিয়ে যান, যার ফলে আপনার উপকার হলেও হতে পারে। বর্তমান সময়টি আধুনিক সময় অর্থাৎ এই সময় কম্পিউটার, মোবাইল এর মতো ডিভাইসের উপর মানুষ নির্ভরশীল হয়ে গেছে তাদের অফিসিয়াল কিংবা ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করার জন্য। আর এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে কাজগুলো সহজও হয়ে যায়, যার ফলে অন্যান্য কাজ করারও সময় থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং, মাইক্রোসফট, আর্টিকেল রাইটিং, ইউটিউব মার্কেটিং সহ আরও অনেক ধরণের কাজ আমরা কম্পিউটারে করে থাকি সবচেয়ে বেশি। কেননা, কম্পিউটারে যেকোনো ধরণের বড় বড় কাজ করা অনেক সুবিধাজনক হয়ে থাকে কিন্তু যদি এই কম্পিউটারের কোনো সমস্যা হয় কিংবা অনেক স্লো হয়ে যায় তাহলে আপনি স্বাভাবিকভাবেই কাজগুলো করতে পারবেন না বরং করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি।
যেন তা না হয় এইজন্য আমি এমন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি যেই পোস্ট পড়ে আপনি আপনার পুরাতন থেকেও পুরাতন পিসির স্লো হওয়ার সমস্যা দূর করতে পারবেন আশা করা যায়। কেননা, আমি নিজেই আমার ১৫ থেকে ১৬ বছর পুরানো পিসিতে এখনো স্মুথলি কাজ করছি এবং Prince Of Persia এবং IGI এর মতো গেম খেলছি। তাই আপনি আমার এই পোস্ট পড়ে ধারণা নিতে পারেন আপনার পিসি সম্পর্কে।
কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারণ
কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারণগুলো কি কি সেই সম্পর্কে কি আপনি জানেন? যদি জেনে না থাকেন তাহলে আপনার সেটা জানা দরকার বলে মনে করছি আমি। কেননা, আপনি যদি কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারণগুলো জানতে পারেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কম্পিউটার স্লো হলে কি কি করতে হয়। তাহলে চলুন সেই সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।
আপনার কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থাকতে পারে যা আপনার কম্পিউটারকে অনেক স্লো করে দেয়। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কিংবা সচরাচর হয়ে থাকে এরকম সমস্যাগুলো হলো: কেসিং এর ভিতরে অনেক ময়লা পড়ে যাওয়া যা কম্পিউটারকে ধীর গতিতে কাজ করারয়, ফ্যান সমস্যা, ভাইরাস আক্রমণ, ভারী ব্রাউজার ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ফাইল ইত্যাদি।
এই সমস্যাগুলি সাধারণত হয়ে থাকে বেশিরভাগ কম্পিউটারে এবং এগুলোর ফলেই আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। কিন্তু চিন্তা করার দরকার নেই আমি এগুলোর সমাধান নিচে বিস্তারিতভাবে দিয়ে দিবো, বাকি পোস্টটুকু পড়লে আপনি সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন আশা করছি। আমার উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে যদি আপনার কম্পিউটার স্পিড না বাড়ে তাহলে আমাকে আপনার পিসির সমস্যা সম্পর্কে জানাতে পারেন কম্পিউটারের মাধ্যমে, আমি তার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডিলিট করুন সঠিক নিয়ম
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডিলিট করুন সঠিক নিয়মে আর তা যদি না করেন তাহলে সেই অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটিও খালি জায়গা এবং Ram ব্যবহার করবে অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো। আর আপনার পিসির Ram খরচ যত বেশি হবে আপনার পিসির স্পিডও তত বেশি কমতে থাকবে। তাই জন্য আপনার উচিৎ অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ডিলিট করে দেওয়া আপনার পিসি থেকে।
যেকোনো সফটওয়্যার পিসিতে ইন্সটল করলে সেটি শুধু আপনার পছন্দকৃত জায়গায় নয় বরং আরও কিছু জায়গায় থাকে, এখন আপনি সেই সব জায়গায় গিয়ে একটা একটা করে ডিটেইলস ডিলিট করার মাধ্যমে তো আর কোনো সফটওয়্যার ডিলিট করতে পারবেন না তাই না! তাই জন্য আপনি যদি সঠিক একটি নিয়মে কোনো সফটওয়্যার ডিলিট করেন তাহলে তার সবকিছু পুরো কম্পিউটার থেকেই ডিলিট হয়ে যাবে।
এখন আসুন কথা বলি সেই নিয়মটির সম্পর্কে, আপনি যদি আপনার পিসির উইন্ডোজের থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে প্রোগ্রামস এ যান এবং সেখান থেকে আবার আইন্সটল প্রোগ্রামস এ যান তাহলে আপনি সেই সকল সফটওয়্যার দেখতে পাবেন যা আপনার পিসিতে ইন্সটল আছে। এখন সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটিতে ক্লিক করার পরে আনইন্সটল এ ক্লিক সফটওয়্যার সম্পূর্ণরুপে ডিলিট করে দিন আপনার পিসি থেকে।
কিছু অপ্রয়োজনীয় এক্সট্রা ফাইল ডিলিট করুন কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে
কিছু অপ্রয়োজনীয় এক্সট্রা ফাইল ডিলিট করুন কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে অর্থাৎ আপনি যদি কোনো সফটওয়্যার চালান কিংবা ব্যবহার করেন কিংবা ইন্সটল বা আনইন্সটল করেন তখনও মাঝে তার কিছু ফাইল বা স্মৃতি কম্পিউটারে থেকেই যায় আপনি সেগুলো ডিলিট করে দেন। কেননা, সেই ফাইলগুলো আপনার পিসির জায়গা দখল করে আছে এবং এর ফলে আপনার পিসি অর্থাৎ কম্পিউটার স্লো চলছে।
আর আপনি যদি সেই ফাইলগুলো ডিলিট করেন তাহলে আপনার কোনো তথ্যের বা ইনফরমেশনের ক্ষতি হবে না বরং আপনি কম্পিউটারে স্মুথলি যেকোনো কাজ করতে পারবেন। এখন চলুন সেই উপায়টির বা নিয়মটির কথা বলা যাক যা কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, কেননা সেই অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ফাইলগুলো অনেক পরিমাণের জায়গা নিয়ে থাকে।
সেই ফাইলগুলো ডিলিট করার জন্য আপনাকে উইন্ডোজ থেকে সার্চ দিতে হবে "Run" এবং সেটি চালু করতে হবে। তারপরে সেখানে একটা একটা করে %temp%, temp এবং recent লিখে ইন্টার টিপতে হবে কিবোর্ড থেকে, এর ফলে আপনার সামনে যে ফোল্ডার বা জায়গাটি ওপেন সেখান থেকে চোখ বন্ধ করে সকল ফাইল সিলেক্ট করে ডিলিট করুন। তারপরে Recycle Bin এ গিয়ে সেটি Empty Recycle Bin করে দিন তাহলেই আপনার কাজ শেষ।
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন যদি আপনি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে। কেননা হার্ডডিস্ক ব্যবহারের ফলে সেই সকল ফাইলগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে যেগুলো আপনি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করেন কিংবা ইন্সটল ও আনইন্সটল করেন কিংবা পরিবর্তন করেন ইত্যাদি। যার ফলে কম্পিউটারে কোনো ফাইল ওপেন করতে অনেক সময় লেগে যায় অর্থাৎ কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।
যেন সেরকম না হয় তার জন্য আপনি চাইলে হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে পারেন। কেননা, হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করার মাধ্যমে সেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাক তথ্যগুলো একত্রে রাখার চেষ্টা করে বা এমন কিছু করে যার ফলে আপনার কম্পিউটারটি আর স্লো হয়না অর্থাৎ কোনো তথ্য খুঁজতে আগের মতো অত বেশি সময় লাগে না। এখন আসুন বলি কিভাবে এই হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করবেন।
উইন্ডোজ থেকে সার্চ দিন Disk Defragment তারপরে আপনার সামনে আসা সফটওয়্যার বা সেটিংস টিতে ক্লিক করুন এবং সেই ড্রাইভটি সিলেক্ট করুন যেটি আপনি ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে চান। এগুলো করবেন যদি আপনি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করেন তাহলে আর যদি এসএসডি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এগুলো ব্যবহার করার দরকার হয়না, কেননা এসএসডি কোনো তথ্য বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে রাখেনা আর তাই কোনো সমস্যাও ঐভাবে হয়না।
কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর জন্য সঠিক ব্রাউজার সিলেক্ট করুন
কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর জন্য সঠিক ব্রাউজার সিলেক্ট করুন কেননা এমন কিছু ব্রাউজার রয়েছে যা অধিক পরিমাণে Ram ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে আপনি যখন কোনো ব্রাউজার ব্যবহার করার জন্য চালু করেন কিংবা কোনোকিছু সার্চ দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় সাইটে তখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট স্লো হয়ে গেছে কিংবা হ্যাং হয়ে গেছে। আর এগুলো হয় কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারণে।
আর এইক্ষেত্রে কম্পিউটারটি স্লো হয় ব্রাউজারের কারণে। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন ব্রাউজার ব্যবহার করলে কম্পিউটার স্লো হবে না। আমরা সকলে সাধারণত ক্রোম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আপনি কি জানেন এই ক্রোমই সবচেয়ে বেশি Ram ব্যবহার করে? হ্যাঁ, ক্রোম অন্যান্য ব্রাউজারের চেয়ে Ram বেশি ব্যবহার করে এবং যার ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।
আপনার কম্পিউটারটি যদি ভালো মানের হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত Ram ব্যবহারে কোনো সমস্যা না হয় তাহলে আপনি ক্রোমই ব্যবহার করতে পারেন আর যদি আপনার পিসি অনেক পুরাতন হয়ে থাকে এবং সেখানে ব্রাউজিং করাও প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে আপনি K-Meleon, Brave, Supermium (ক্রোমের মতোই দেখতে কিন্তু ক্রোমের থেকে কম Ram খায়) কিংবা Firefox এর মতো ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুন: ছাত্রজীবনে আয় করার সহজ ১০টি উপায় সম্পর্কে জানুন
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন, কেননা ভাইরাস আপনার পিসিকে অনেক স্লো করে দেয়। এম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে কোনো প্রকার সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে আমাদের কম্পিউটারের মধ্যে ভাইরাস প্রবেশ করে। তাহলে কিভাবে আপনি সতর্ক থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন এবং কম্পিউটারকে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাবেন চলুন সেই সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
প্রথমত যদি আপনি কোনো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান তাহলে অবশ্যই সেই সফটওয়্যারটি আপনি অফিশিয়াল সাইট থেকে ডাউনলোড করুন। কোনো প্রকার ক্র্যাক ভার্সন কিংবা ট্রাস্টেড নয় এমন সাইট থেকে ডাউনলোড করবেন না। কেননা, অচেনা জায়গা থেকে ডাউনলোড করলে ভাইরাস প্রবেশ করা সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাও যদি আপনার প্রয়োজন হয় অন্য কোথাও থেকে ডাউনলোড করার তাহলে কি করবেন চলুন জেনে নিই।
অচেনা কোনো সাইট থেকে কোনোকিছু ডাউনলোড করার প্রয়োজন আপনার হতেই পারে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পিসিতে যেকোনো ধরণের একটি অ্যান্টি-ভাইরাস সেটাপ করে নিবেন যেমন: এভাস্ট, এভিজি, এভাইরা ইত্যাদি অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার কিন্তু সাধারণত সকল কম্পিউটারেই প্রথম ডিফোল্ট ভাবেই অনেক শক্তিশালী একটি অ্যান্টি ভাইরাস থাকেই Windows Defender নামে। আপনি ডিফোল্ট সফটওয়্যারটিই করতে পারেন কেননা এটিও অনেক শক্তিশালী হয় এবং ভাইরাস আটকানোর জন্য যথেষ্ট। এই অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার চালু করেই যেকোনো সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন এবং ব্যবহার করবেন।
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে এবং হ্যাং কমাতে পিসির ফ্যান চেক করুন
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে এবং হ্যাং কমাতে পিসির ফ্যান চেক করুন। কেননা যদি আপনার কুলার ফ্যানের সমস্যা থাকে বা না চলে তাহলে আপনার পিসি ব্যবহারের ফলে অনেক গরম হয়ে যাবে এবং কিছুক্ষণ পর থেকে হ্যাং হতে শুরু করবে। আর হ্যাং হলে কম্পিউটারটি স্মুথলি চলে নাকি স্লো চলে সেটাতো আপনি বুঝতেই পারছেন।
ফ্যান চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার পিসির কেসিংটি খুলতে হবে তারপরে দেখবেন দুইটি ফ্যান আছে। একটি ফ্যান প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় আরেকটি ফ্যান পুরো সিস্টেমটিকে ঠান্ডা রাখার জন্য। অর্থাৎ প্রসেসরে লাগানো ফ্যানটি প্রসেসর থেকে বের হওয়া তাপ গুলো প্রসেসর এর বাহিরে বের করে দেয় তারপরে কেসিং এর ফ্যান সেই গরম হাওয়া পুরো কেসিং এর বাহিরে বের করে দেয়।
এর ফলে আপনার পুরো পিসিটি অর্থাৎ কম্পিউটারটি ঠান্ডা থাকবে এবং স্মুথলি কাজ করবে। যদি এর মধ্যে একটি ফ্যানও নষ্ট হয় তাহলে আপনার কম্পিউটার খুব দ্রুত গরম হবে এবং স্লো করতে লাগবে যার ফলে আপনি কোনো কাজ করে শান্তি পাবেন না বরং বিরক্ত লাগবে। তাই জন্য আপনার উচিৎ কেসিং খুলে ফ্যানগুলো একবার চেক করা, যদি ঠিক না থাকে তাহলে নিজে বা সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ঠিক করে নেওয়া।
কম্পিউটারের কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় এমন কিছু জিনিসপত্র
কম্পিউটারের কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় এমন কিছু জিনিসপত্র যা আপনার কম্পিউটার ঠান্ডা রাখতে, দ্রুত পরিচালনা করতে এবং যেকোনো কাজ স্মুথলি করতে সহায়তা করতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া সেগুলো জিনিসপত্র সম্পর্কে যা ব্যবহার করে আপনিও আপনার কম্পিউটারের স্পিড বাড়াতে পারবেন।
আমার জানা মতে প্রত্যেকটি পিসিতেই র্যামের ২টি স্লট থাকে অর্থাৎ র্যাম প্রবেশ করানোর জন্য ২টি জায়গা আছে। আপনি যদি এই দুইটি জায়গাতেই র্যাম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্যই ভালো হবে। কেননা যখন আপনি ২টি র্যাম ব্যবহার করবেন তখন পিসির কাজ বা পারফরমেন্স ২টি র্যামে ভাগ হয়ে যাবে, যার ফলে র্যামগুলোর উপর চাপ কম পড়বে এবং আপনার কম্পিউটার পারফরমেন্স একটু উন্নত হবে।
দ্বিতীয়ত আপনি HDD ব্যবহার না করে SSD ব্যবহার করুন, কেননা HDD এর থেকে SSD ব্যবহার করলে পারফরমেন্স অনেক উন্নত হয় এবং কম্পিউটার স্পিডও অনেকটা বৃদ্ধি পায়। আপনি চাইলে উভয়ই রাখতে পারেন কিন্তু সেক্ষেত্রে যদি আপনি SSD তে আপনার উইন্ডোজ সেটাপ দেন তাহলে আপনার কম্পিউটার অনেক ভালো পারফরমেন্স দিবে এবং আপনি চালিয়েও শান্তি পাবেন।
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে আমি নিজে যা করেছি আমার কম্পিউটারের সাথে
কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে আমি নিজে যা করেছি আমার কম্পিউটারের সাথে চলুন এখন সেই সম্পর্কে একটু গল্প করি বা কথা বলি। আমার পিসি মূলত চালানো হচ্ছে প্রায়ই ১৬ বছর ধরে, জানি বিশ্বাস হবে না কিন্তু এটিই সত্য। আর মজার বিষয় আমি এখনো আমার পিসিতে তুলনা মূলক ভালো গেম অর্থাৎ Prince Of Persia এবং IGI এর মতো গেম খেলতে পারি স্মুথলি।
কিন্তু GTA 5, Watchdogs এর মতো গেম খেলা যায় না কেননা আমার পিসি একদম লো কনফিগারেশনের যা মানুষ ১৫-১৬ বছর আগে চালাতো ভালোভাবে। যা হোক, আমার পিসিও প্রচুর পরিমাণে স্লো ছিলো পরবর্তীতে আমি সেই সকল বিষয়বস্তু চেক করলাম যা আমি আপনাকে উপরে সাজেস্ট করেছি। তারপরে আমি দেখলাম আমার কম্পিউটারে গরম হাওয়া বাহিরে বের হওয়ার ফ্যান নষ্ট।
শুধু তাই নয় প্রচুর স্লো চলে এবং হ্যাং করে কেননা ভাইরাস ছিলো। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ছিলো প্রায়ই ৩ থেকে ৪ জিবির এবং ডিস্ক ফুল হয়ে যেতো। তখন আমি সেগুলো সব সমস্যা একটা একটা করে সলভ করলাম, সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ফ্যান ঠিক করিয়ে নিলাম, SSD লাগালাম HDD এর বদলে, ৪ জিবির র্যামকে ৬ জিবির র্যাম করে ফেললাম এবং নতুন ভাবে উইন্ডোজ ৭ সেটাপ দিলাম। এখন আমার পিসি আগের তুলনায় অনেক ভালো চলছে অর্থাৎ কাজ করার মতো ভালো চলছে।
আরো পড়ুন: টাকা ছাড়া ইনকাম সেরা ৫টি উপায় জানুন বাস্তব উদাহরণসহ
সবশেষে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ
আশা করছি আপনি পুরো পোস্টটি পড়েছেন এবং কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এখন আসুন আমি আপনাকে কিছু পরামর্শমূলক কথা যা আপনার কাজে লাগলেও লাগতে পারে। আপনি যদি আমার পিসির মতো পুরাতন কোনো পিসি চালিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আমার মতো করে আপনার পিসিকেও আস্তে আস্তে আপগ্রেড করতে পারেন।
প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টেম্প ফাইলগুলো ডিলিট করুন যেন জায়গা সর্বদা ফাকা থাকে এবং আপনার কম্পিউটার স্মুথলি চলতে পারে। আর আপনি উপরে দেওয়া কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় গুলোর মধ্যে প্রত্যেকটি এপ্লাই করলেন কিন্তু তাও যদি আপনার কম্পিউটার প্রচুর স্লো হয় যা শয্যের বাহিরে তাহলে আপনি আপনার কোনো নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চেক করান যে মাদারবোর্ড বা প্রসেসরের কোনো সমস্যা আছে কিনা সেই সম্পর্কে।
তাছাড়া আপনি আমাকেও কমেন্টের মাধ্যমে কিংবা সাপোর্ট পেজের মাধ্যমে মেসেজ করে জানাতে পারেন আপনার সমস্যা সম্পর্কে। যদি আমি সেই সম্পর্কে জেনে থাকি কিছু তাহলে আমি অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। তাহলে আজকে কম্পিউটার স্পিড বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে কথা এখানেই শেষ করছি কথা হবে পরের পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। আর কোনো ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সাজেশন বা রিপোর্ট থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।
comment url