এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? তাহলে একদম সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকে এখানে বাংলা ভাষায় ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, তাই জন্য অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

এসইও-ফ্রেন্ডলি-বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম-সম্পর্কে-জানুন

আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন আর্টিকেল লেখার উপরে। কেননা, আমি আজকের এই পোস্টে অন্য সাইটে এবং ব্লগে কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলা আর্টিকেল কি?

বাংলা আর্টিকেল কি সেই সম্পর্কে জানেন? যেহেতু আপনি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাহলে অবশ্যই তার পূর্বে আপনার জানা উচিৎ আর্টিকেল রাইটিং মূলত কি জিনিস, কি হয় এটা দিয়ে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত কোনো সাইটে, ফেসবুকে, বইয়ে, কোম্পানিতে লেখালেখি করাকেই মূলত আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়ে থাকে।

এখন আপনি যদি আর্টিকেলটি ইংরেজিতে লিখেন তাহলে সেটা ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর মধ্যে পড়বে আবার যদি বাংলাতে লিখেন তাহলে সেটা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর মধ্যে পড়বে। সাধারণত বিভিন্ন নিউজ-পেপার সাইটে এবং ব্লগিং সাইটে যেমন: প্রথম আলো, ইউনিক আইটির মতো আরও অন্যান্য সাইটে যেসকল বিষয়ে তথ্য দেখতে পান বিস্তারিত সেগুলোই মূলত আর্টিকেল।

যেহেতু আপনি এই তথ্যসমূহ অর্থাৎ আর্টিকেলগুলো বাংলাতে দেখতে পান তাই জন্য এগুলোই বাংলা আর্টিকেল। আর এই বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায় এবং শুধু ইনকাম না ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়। আপনি বাংলা আর্টিকেলের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন, কিভাবে করতে পারবেন তা আমি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পূর্বে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকার প্রয়োজন হবে। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন “আর্টিকেল লিখবো তাহলে আবার কি বিষয় আমার ভিতর থাকতে হবে?” কিন্তু আর্টিকেল লিখা বলতে শুধুমাত্র লিখা নয় এর ভিতরে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আপনার ভিতরে না থাকলে আপনি এই সেক্টরে সফলতা পাবেন না।

আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখে সফলতা পেতে চান তাহলে আপনার ভিতরে ধৈর্য, প্রচুর রিসার্চের মানসিকতা, কোনো বিষয়ে লিখার জন্য সেই জানা প্রয়োজন আর তাই সেই বিষয় সম্পর্কে পড়ে, শুনে বা ভিডিও দেখে জানার মানসিকতা রাখা। আপাতত এই কয়েকটি জিনিসই আপনার ভিতরে থাকা প্রয়োজন, কেননা এই কয়েকটি বিষয় আর্টিকেল লিখার সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।

কেননা একটি বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখার জন্য তার উপর প্রচুর রিসার্চ করতে হয়, জানতে হয় এবং লিখার পরে আবার দেখতে হয় তা এসইও অপটিমাইজড আছে নাকি নাই। আর এইভাবে পরিশ্রম করে ইনকাম শুরু করতে হয় আর তা করতে ধৈর্য প্রয়োজন হয়। কেননা, আপনার ইনকাম কয়েকভাবে শুরু হতে পারে কোন ভাবে করলে দ্রুত শুরু হয় এবং কোনভাবে করলে আপনার লাভ বেশি হয় তা পরবর্তীতে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুন: অনলাইন ইনকামে সফল হতে যেভাবে শুরু করবেন

আর্টিকেল লেখার জন্য নিশ সিলেকশন

আর্টিকেল লেখার জন্য নিশ সিলেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা যায়, কেননা এর উপর নির্ভর করে বা এর সিলেকশন করে তার উপর একটি পোস্ট লিখতে হয়। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে, নিশ আবার কি জিনিস? চিন্তা করার দরকার নেই, আমি আপনাকে এর উপরে বিস্তারিত বলার বা এমনভাবে বলার চেষ্টা করছি যেন আপনি বুঝতে পারেন। নিশকে যদি আমি সহজ ভাষায় বলি তাহলে বলা যায় নিশ মানে হচ্ছে ক্যাটাগরি বা বিষয়।

এখন শুনে হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন যে নিশ বলতে কি বোঝানো হচ্ছে। নিশ বলতে আপনাকে বলা হচ্ছে যে, আপনি যে ধরণের ক্যাটাগরি বা বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই ক্যাটাগরি বা বিষয় আপনি সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইন ইনকাম নিয়ে লিখতে চান তাহলে আপনার নিশ অনলাইন ইনকাম, যদি আপনি মানুষের জীবন পরিচালনা, সুষ্ঠুভাবে জীবন-যাপন করা নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে আপনার নিশ হবে লাইফস্টাইল।

এভাবে আপনাকে আর্টিকেল লিখার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিশ সিলেক্ট করা। আর যদি আপনার নিশ সিলেক্ট করতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি একাধিক নিশ নিয়েও লিখতে পারেন আমার মতো। আর এই নিশ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তখন যখন আপনার একটি নিজের ওয়েবসাইট থাকবে আর আপনি সেখানে আর্টিকেল লিখবেন। আপনি অন্য কারো জন্য আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনাকে তার কথা অনুযায়ী নিশ সিলেক্ট করতে হবে।

আর্টিকেল লেখার জন্য প্রচুর রিসার্চ মানসিকতা থাকা

আর্টিকেল লেখার জন্য প্রচুর রিসার্চ মানসিকতা থাকা প্রয়োজন আপনার মধ্যে অর্থাৎ আপনি যদি আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে আগে বের করতে হবে যে আপনি কোন টপিকের উপরে আর্টিকেল লিখবেন। আর সেই টপিক খুঁজে বের করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ব্রাউজারে বা গুগলে প্রচুর সার্চ করতে হবে ও খুঁজতে হবে এবং আপনি পারবেন এরকম একটি টপিক পছন্দ করতে হবে পোস্ট লিখার জন্য।

এখন ধরেন আপনি “ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়” সম্পর্কে পোস্ট লিখবেন কিন্তু তার জন্য আপনাকে তো সেই সম্পর্কে কিছু জানতেও হবে তাই না? কেননা, আপনি যদি না জানেন তাহলে লিখবেন কি এবং মানুষজনকে বোঝাবেন কি? তাই জন্য সেই টপিকটির উপরে গুগলের মাধ্যমে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্চ করে জানতে হবে ভিডিও দেখে বা পোস্ট পড়ে ইত্যাদি।

কিন্তু মনে যেন থাকে আপনি যেই পোস্টসমূহ পড়বেন বা যেসকল সাইট থেকে জানবেন, সেই সকল ওয়েবসাইট কিংবা অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটের সাথে যেন আপনার পোস্ট না মিলে অর্থাৎ আপনি হুবহু কোনো জায়গা থেকে কপি করে বা চুরি করে পোস্ট লিখতে পারবেন না আর যদি লিখেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট সারাজীবনের জন্য ব্যানও হয়ে যেতে পারে তাই সাবধান।

আর্টিকেল লেখার জন্য টাইটেল নির্বাচন

আর্টিকেল লেখার জন্য টাইটেল নির্বাচন করা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনকামের ক্ষেত্রে। আপনি যদি সঠিকভাবে টাইটেল নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে আপনি ক্লিক পাবেন না এবং ‍ইনকাম ভালো পরিমাণে হবে না। তাই জন্য একটি সঠিক, এসইও ফ্রেন্ডলি এবং আকর্ষণীয় টাইটেল আপনাকে বানাতে হবে যেন মানুষজন আপনার টাইটেল দেখে আপনার পোস্টের ভিতরে ঢুকে আপনার আর্টিকেল বা পোস্টটি পড়ে।

আর্টিকেল-লেখার-জন্য-টাইটেল-নির্বাচন

আর তার জন্য আপনাকে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে একটি টাইটেল বানাতে হবে। যেহেতু আগের টপিকে “ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়” নিয়ে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে তাই এবারও তাই করছি আপনার বোঝার সুবিধার্থে। যেহেতু আপনি ভেবেছেন “ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়” সম্পর্কে পোস্ট লিখবেন এবং এটা গুগলে সার্চ করে জেনেছেন তাই ধরুন এটিই আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড।

এখন এই ফোকাস কিওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে আপনাকে একটি আকর্ষণীয় এবং ৮ শব্দের মধ্যে একটি টাইটেল বানাতে হবে (যেমন: “ছাত্র জীবনে আয় করার ১০টি সেরা উপায়”) যেন মানুষজন দেখার সাথে সাথেই আপনার পোস্টে ক্লিক করে আপনার লিখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। কেননা, আপনার পোস্টে বা আর্টিকেলে ক্লিক করলেই তো আপনার ইনকাম আসবে। আশা করছি আপনি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিবেন।

আর্টিকেল লেখার জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ও ডেসক্রিপশন বসানো

আর্টিকেল লেখার জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ও ডেসক্রিপশন বসানোটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। কেননা, আপনার পোস্টে ঢুকার পরে মানুষ প্রথমে মেটা ডেসক্রিপশন ও ডেসক্রিপশনটা দেখে বা পড়ে, যদি তাদের সেখানে থাক লিখাগুলো পড়ে আগ্রহ জাগে তাহলে তারা আপনার পোস্ট সম্পূর্ণ পড়বে এবং অধিক সময় ব্যয় করবে আপনার সাইটে। আর যত বেশি সময় মানুষজন আপনার পোস্টের ভিতরে থাকবে আপনার ইনকামও তত বেশিই হবে।

এখন আসুন কথা বলি মেটা ডেসক্রিপশন এবং ডেসক্রিপশন কি সেই সম্পর্কে। আমার এই পোস্টে কিংবা অন্য যেকোনো পোস্টের একবারে উপরে দেখুন যেই ছবি আছে তার আগে যেই ২ লাইনে কিছু লিখা আছে এটাই হচ্ছে মেটা ডেসক্রিপশন আর ছবিটির আগের ২ লাইন (মেটা ডেসক্রিপশন) এবং পরের ২ লাইন মিলে যেই ৪ লাইন লিখা রয়েছে তাকে একসাথে বলা হচ্ছে ডেসক্রিপশন।

আপনি এই ২ লাইনে যত বেশি অ্যাট্রাক্টিভ কথা বলতে পারবেন মানুষজন তত বেশি সময় আপনার পোস্টে থাকবে এবং আপনার আর্টিকেল পড়বে। আর এর ফলে আপনার ইনকামও বেশি হবে, তাই জন্য আপনার ডেসক্রিপশন এবং মেটা ডেসক্রিপশন অ্যাট্রাক্টিভ করুন। বিশেষ করে মেটা ডেসক্রিপশন অ্যাট্রাক্টিভ করুন কেননা মানুষ সবার আগে মেটা ডেসক্রিপশন পড়বে।

আর্টিকেল লেখার জন্য পোস্ট সূচিপত্র তৈরি করা

আর্টিকেল লেখার জন্য পোস্ট সূচিপত্র তৈরি করাও একটি নিয়ম মানুষকে আপনার ওয়েবসাইটে রাখার জন্য। এখন আপনি ভাবতে পারেন পোস্ট সূচিপত্র কোনটি? তাহলে বলে নিই প্রথমেই, আপনি এই পোস্টের একবারে উপরে ছবি এবং ডেসক্রিপশনের পরে যে “পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন” কথাটি লিখা আছে এবং তার নিচে কিছু লিখার ভিতরে লিংক আছে সেগুলো মিলেই মূলত বলা হচ্ছে পোস্ট সূচিপত্র।

আপনি যদি সেই লিখাগুলোতে ক্লিক করেন তাহলে এই পেইজের সেই জায়গাতে চলে যাবেন যেই জায়গার হেডলাইনে থাকা কথা ক্লিককৃত স্থানে লিখা রয়েছে। এখন আপনি ভাবতে পারেন এটা করলে কি হয় এবং না করলে কি হয়? এটা আসলে সম্পূর্ণ পোস্টের একটি সারাংশ বা সারমর্ম যেটা পাঠক আপনার সাইটে এসে এক নজরে দেখতে পায়।

অর্থাৎ আপনি পুরো পোস্টে বা আর্টিকেলটিতে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন সেই সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়ার পরে যদি তাদের ভালো লাগে তাহলে তারা সময় দিয়ে বিস্তারিত পড়ার চেষ্টা করে আর যদি ভালো না লাগে তাহলে বের হয়ে চলে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই পোস্ট সূচিপত্র দেখে ওয়েবসাইটটি ঘুরে, তাই জন্য আমার পরামর্শ এটাই হবে যে আপনি একটি পোস্ট সূচিপত্র বানান।

আর্টিকেল লেখার জন্য এসইও রুলস

আর্টিকেল লেখার জন্য এসইও রুলস রয়েছে যা আর্টিকেল লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আপনি যদি এসইও অনুযায়ী আর্টিকেল না লিখেন তাহলে আপনার আর্টিকেল লিখা না লিখা উভয়ই সমান হবে। কেননা আপনি এসইও ছাড়া আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার সেখান থেকে কোনো প্রকার ইনকাম হবে না বরং শুধু লিখাই হবে। তাই জন্য চলুন এই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিই।

আর্টিকেল-লেখার-জন্য-এসইও-রুলস

এসইওর মধ্যে প্রথমে রয়েছে টাইটেল ৬০ ক্যারেক্টারের ভিতরে রাখা, পার্মালিংক ব্যবহার করা, ১৫০০ শব্দের আর্টিকেল লিখতে হবে, ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করতে হবে, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে, কোনো প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া যাবেনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা কোনো আর্টিকেল বা পোস্ট থেকে কোনো তথ্য চুরি, হ্যাকিং, বা হুবহু কপি করা যাবে না।

হ্যাঁ আপনি চাইলে কোনো বিষয় সম্পর্কে না জানলে বিভিন্ন পোস্ট থেকে পড়ে আইডিয়া নিয়ে সেই সম্পর্কে নিজের মতো করে বানিয়ে লিখতে পারেন। সবকিছু মানার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এসইও এর মধ্যে সেটি হলো আপনাকে আর্টিকেল প্রতিদিন পাবলিশ করতে হবে নাহলে ক্লিক এবং ইম্প্রেশন কমে যাবে যার ফলে আপনার ইনকামও কমে যাবে। আশা করি আপনি এসইও এর সকল নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখবেন।

আরও পড়ুন: ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করুন পেমেন্ট বিকাশে

বাংলা আর্টিকেল সাইট কোনটি

বাংলা আর্টিকেল সাইট কোনটি সেই সম্পর্কে জানার পূর্বে অবশ্যই আপনি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো উপর থেকে পড়ে আসুন। কেননা আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলোই না জানেন তাহলে আপনার বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য সাইট সম্পর্কে জেনেও কোনো লাভ হবে না। তাই জন্য আমার অনুরোধ কিংবা পরামর্শ থাকবে অবশ্যই উপরের নিয়মগুলো আপনি পড়বেন যদি সফলতা পেতে চান।

এখন আসি বাংলা আর্টিকেল সাইট কোনগুলো সেই সম্পর্কে। এমন অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি বাংলাতে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। কিন্তু সেই সাইটগুলোর আগে জেনে নিন যে, আপনি যদি নিজে যদি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেখানে উপরের নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন আর্টিকেল লিখতে থাকেন তাহলে কয়েক মাস পরে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। কেননা, নিজের ব্লগিং সাইটে আর্টিকেল লিখে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করা যায়।

আরও পড়ুন: ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা ৫টি অসাধারণ ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন

একটু দেড়ি হলেও আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে যদি আপনি নিজের সাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম শুরু করতে পারেন শুধুমাত্র একবার। তাছাড়া ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে ক্লায়েন্ট খুঁজে আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব পেতে পারেন ইনকাম মাসভিত্তিক হতে পারে। আবার আমার মতো কিছু ব্লগিং ওয়েবসাইটেও আর্টিকেল রাইটারের নিয়োগ দেওয়া হয় সেখান থেকেও আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর জব করতে পারেন।

সবশেষে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ

আশা করছি সকল পোস্ট আপনার পড়া হয়ে গিয়েছে এখন আমি আপনাকে কিছু পরামর্শ দিবো যা আপনার জন্য লাভবান হতে পারে তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখে বা করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে চান এবং এটিও চান যেন আপনাকে আর টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাততে না হয় বা পিছনে ঘুরে তাকাতে না হয় তাহলে আমি বলবো আপনি ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং করুন।

আপনি যদি নিজের একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেখানে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ শুরু করেন এবং সেখানে বিনা পরিশ্রমে দীর্ঘ কয়েক মাস কাজ করতে থাকেন তাহলে তারপরে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে সেখান থেকে প্রতি মাসে কাজ টাকা পাবেন। মজার বিষয় হচ্ছে যদি আপনি হঠাৎ কোনো কারণ বসত কোনো মাসে কাজ করতে না পারেন তাহলেও আপনি টাকা পাবেন আপনার নিজের সাইট থেকে।

আর অন্য কারও সাইটে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করলে আপনি সেদিন থেকেই ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু সেই ইনকাম বন্ধ হওয়ার একটা ছোট্ট ভয় থাকেই। তাছাড়া যদি কোনো মাসে কোনো কারণ বসত কাজ করতে না পারেন তাহলে কোনো টাকা পাবেন না আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাছে। আজকে এই পর্যন্তই আর যদি আমার আজকের পোস্টে কোনো ভুল থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ভুলগুলো আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url