ছাত্রজীবনে আয় করার সহজ ১০টি উপায়

ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। ছাত্রজীবনে আয় করা যাবে এমন ১০টি সহজ উপায় আজকের এই পোস্টে বলা হবে, যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় কি কি হতে পারে।

ছাত্রজীবনে-আয়-করার-সহজ-১০টি-উপায়

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি ইনকামও করতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনাকে জানানো হবে, আপনি স্টুডেন্ট অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি কোন সহজ উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত

ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পোস্ট পড়ে আপনি জানতে পারবেন যে একজন ছাত্র কিভাবে আয় করতে পারবে। ছাত্রজীবনে শুধু পড়াশোনাই করতে হবে এমন নয়, ছাত্রজীবন এমন একটি সময় যে সময় ছাত্ররা তাদের ভিত্তি মজবুত করে তার মানে এই না যে, তারা শুধু পড়বে আর পড়বে।

হ্যাঁ নিঃসন্দেহে পড়াশোনা অবশ্যই করতেই হবে বরং ছাত্র তো তাকে বলাই হয় এজন্য। কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কিছু কাজ ও দায়িত্ব রয়েছে যা একজন ছাত্রের পক্ষে নেওয়া তুলনামূলক প্রয়োজনীয় বলে মনে করা যায়। কেননা, দেখেনে আপনি এখন একজন ছাত্র কিন্তু তাই বলে কি আপনার কোনো খরচ নাই? আপনার পড়াশোনার, জামা-কাপড়ের, বই-খাতার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের খরচ রয়েছে।

কিন্তু আপনি যদি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের হয়ে থাকেন তাহলে আপনি দেখে থাকবেন এই খরচগুলো বের করতে আপনার বাবা-মায়ের উপর দিয়ে কত জুলুম উঠে যায়। তাই জন্য আপনার উচিৎ আপনার মা-বাবর পাশে দাঁড়ানো এবং তাদেরকে সহায়তা করা। যেহেতু আপনি "ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়" এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এসেছেন সেহেতু আশা করছি আপনি এই বিষয়গুলো জানেন। আর আপনার মতো দায়িত্ববান স্টুডেন্টের জন্যই আমিও এই পোস্ট নিয়ে এসেছি যেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় জানতে পারবেন ছাত্রজীবনের জন্য কিংবা আপনার জন্য।

আরও পড়ুন: ঘরে বসে আয় করার সেরা উপায় জানতে ক্লিক করুন

অন্যের হোমওয়ার্ক করে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

অন্যের হোমওয়ার্ক করে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে কি আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন কিংবা আপনি কি জানতেন যে এই ধরণের কোনো ইনকাম করা যায় কিনা? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আপনি ভাবতে পারেন আদৌ কি হোমওয়ার্ক করে ইনকাম করা যায়? তার উত্তরে আমি বলবো হ্যাঁ অবশ্যই যায়, বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি হোমওয়ার্ক করে ইনকাম করতে পারবেন।

অর্থাৎ সেই ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা সেই সেখান থেকে সমাধান করে নেই। আপনি যদি তাদের সেই সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করে দিতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সেই ওয়েবসাইটগুলোতে অপশন রয়েছে টিউটর হিসেবে লগইন করার এবং আপনি সেই টিউটর হিসেবে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখান থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

এতক্ষণ আপনাদের সাথে যেই সাইটের কথা বলছিলাম সেই সাইটটির নাম হলো স্টাডিপুল, ডকমেরিট এবং কোর্স হিরো ইত্যাদির মতো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অন্যের হোমওয়ার্ক করে বা তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করে স্টুডেন্ট অবস্থা থেকেই ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন সম্পূর্ণ টপিকটি, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করার উপায়

আমি আপনাকে যেই তিনটি ওয়েবসাইটগুলোর কথা বললাম সেগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজেই অন্যের হোমওয়ার্ক করে অর্থাৎ হোমওয়ার্কের বিষয়টি খাতায় লিখে বা কোনো নোটপ্যাডে লিখে তার ছবি তুলে কিংবা পিডিএফ তৈরি করে সেটি সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আপলোড করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন, চলুন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি।

প্রথমে আমার দেওয়া ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটির নামের উপর ক্লিক করে প্রবেশ করুন এবং তাহলে দেখবেন আপনার সামনে একটি পেইজ চালু হবে সেই পেজে উপরের দিকে, মাঝখানে কিংবা শেষের দিকে দেখবেন একটি ফর্ম আছে। সেই ফর্মে চাওয়া সকল তথ্য আপনি পূরণ করুন এবং যদি কোনো কুইজ বা পরীক্ষা দিতে হয় তা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন পূরণ (একজন টিউটর হিসেবে)। তাহলে দেখবেন আপনার একাউন্ট কমপ্লিট হয়ে গেছে হোমওয়ার্ক বা কোনো পিডিএফ পাবলিশ করে ইনকামের জন্য।

এখন আপনি দেখুন কোন সাবজেক্টের বিষয়ে আপনি ভালো পারবেন সেই সাবজেক্টের সেই টপিক নিয়ে লিখুন আপনার খাতায় কিংবা ডকুমেন্টে কিংবা পিডিএফ হিসেবে। তারপরে আপনি সেগুলো সেই ওয়েবসাইটগুলোতে পাবলিশ করে দিন, এরপর থেকে কেউ যদি আপনার সেই বই বা হোমওয়ার্ক বা অ্যাসাইনমেন্ট বা পিডিএফ ডাউনলোড কিংবা কিনে নেয় তাহলে আপনি তার জন্য টাকা পাবেন (প্রত্যেক ওয়েবসাইটে সেই কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রাইস বা রেট রয়েছে)।

মিমস পেইজ বানিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

মিমস পেইজ বানিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে কি আপনি জানেন? মিমস পেইজ বানিয়ে ইনকাম করা একটি পপুলার এবং সহজ একটি উপায় টাকা ইনকামের জন্য। আপনি হয়তো জানেন ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে কিংবা টিকটকে বিভিন্ন ধরণের রিলস রয়েছে যা প্রচুর মানুষ দেখে এমনকি আপনিও দেখেন। আপনি যদি এমন একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে পারেন যেই পেইজে আপনি রিলস ছাড়তে পারবেন।

তাহলে আপনি কিন্তু সেই রিলস থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন হয়তো আপনি ভাবতে পারেন এত রিলস রয়েছে তাহলে আমার বানানো রিলস কেনো মানুষজন দেখবে বা তাদের পছন্দ হবে? আপনার এই প্রশ্নটি একদম সঠিক, আপনি যদি একদম সঠিক একটি রিলস বানাতে পারেন যেই ভিডিও ফেসবুকের কোনো নিয়ম-কানুন ব্রেক করেনা তাহলে ফেসবুক আপনার রিলস একসেপ্ট করবে যার ফলে তা পাবলিশ করতে কোনো সমস্যা হবে না।

পাবলিশ করার পরে বেশি বেশি থেকে বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে যদি আপনি কয়েকটি কাজ করেন আপনার ভিডিও পাবলিশ করার সময় যেমন: আকর্ষণীয় টাইটেল (যা দেখে মানুষ আপনার ভিডিওর প্রতি আগ্রহী হয়), সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার (যে ধরণের ভিডিও বানিয়েছেন সেই ধরণের হ্যাশট্যাগ দিন), নিয়মিত পোস্ট করুন এবং সবসময় ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে পোস্ট করার চেষ্টা করুন।

থাম্বনেইল বানিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

থাম্বনেইল বানিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক থাম্বনেইল কি। বর্তমানে ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে, টিকটকে এবং বিশেষ করে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও আমরা দেখে থাকি। যেখানে প্রথম অবস্থাতেই ভিডিও চালু থাকে না অর্থাৎ ভিডিওর উপর ক্লিক না করা পর্যন্ত চালু হয় না, সেই সময় আমরা ভিডিও উপরে যেই একটি ছবি দেখতে পায় যা দেখে ভালো লাগলে আমরা মূলত ক্লিক করি সেটিকেই মূলত থাম্বনেইল বলা হচ্ছে।

বর্তমানে দিন যত যাচ্ছে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার প্রবণতাও বাড়ছে আর তার সাথে বাড়ছে ভিডিও অনুযায়ী একটি সঠিক এবং আকর্ষণীয় থাম্বনেইল এর। আপনি যদি একজন ডিজাইনার হন তাহলে তো আপনি সহজ ও আকর্ষণীয় থাম্বনেইল বানাতে পারবেন কিন্তু যারা এখানে প্রফেশনাল না বা কিছুই জানে না তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি আপনিও এই কাজটি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি ছাত্র হন তবুও কোনো সমস্যা নেই।

আপনি পিক্সেল ল্যাব, পিক্স আর্ট, পিক্স এল আর ইত্যাদির মতো অনেক সফটওয়্যার ও সাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই থাম্বনেইল বানাতে পারবেন। শুধু আপনাকে আপনার মাইন্ডকে একটু খাটাতে হবে এবং সেই সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে একটি ইউনিক কোনো থাম্বনেইল বানিয়ে বিভিন্ন ইউটিউবারের কাছে গিয়ে কিংবা ফাইভার আপওয়ার্কের মতো সাইটে আপনার বানানো থাম্বনেইলগুলো দেখাতে হবে বা গিগ তৈরি করে দিতে হবে, তাদের যদি আপনার বানানো থাম্বনেইল পছন্দ হয় তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে থাম্বনেইল কিনে নিবে।

ব্র্যান্ড ধরে বা প্রমোশন করিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

ব্র্যান্ড ধরে বা প্রমোশন করিয়ে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে কি আপনি জানতেন? না জানলে কোনো প্রবলেম নেই আমি আজকে আপনাকে এই বিষয়েও জানিয়ে দিবো। আপনি যখন কোনো প্লাটফর্মে কোনো ভিডিও দেখেন তখন হয়তো কখনো খেয়াল করেছেন ভিডিওর মধ্যে মাঝে মাঝে এড চালু হয়ে যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কিংবা সফটওয়্যারের। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এই এডগুলো কেন দেয় একজন ভিডিও বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর?

ব্র্যান্ড-ধরে-বা-প্রমোশন-করিয়ে-ছাত্রজীবনে-আয়-করার-উপায়

সেই এডগুলো থেকে মূলত সেই ভিডিওর মালিক ইনকাম করছে আপনি যে এড দেখছেন এটাই তাদের ইনকাম আর এই এডের জন্য ক্রিয়েটরদেরকে টাকা দেয় সেই এড যেই সফটওয়্যারের তার মালিক। এখন আপনি কি করতে পারেন চলুন সেটা জেনে নেওয়া যাক। আপনি যখন এমন কোনো ভিডিও দেখবেন যেখানে এড চালু আছে অর্থাৎ ভিডিও দেখতে দেখতে এড দিচ্ছি, তখন আপনি সাথে সাথে সেই এডের উপরে ক্লিক করুন।

এর ফলে আপনার সামনে সেই সফটওয়্যারের একটি পেইজ চালু হবে যেখানে সেই সফটওয়্যারে মালিক বা এমন কারো নাম্বার থাকবে যে সেই সফটওয়্যারগুলোর এড দেওয়ার জন্য টাকা দিচ্ছে। সেই পেজে তাদের কোনো রকম নাম্বার বা কন্টাক্ট করার মাধ্যম না পেলেও আপনি এডে ক্লিক করার ফলে যেই পেইজে প্রবেশ করেছেন সেই পেইজের সাপোর্ট পেইজে পাবেন, সেখান নাম্বার বা কন্টাক্ট করার মাধ্যম বের করে নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

যোগাযোগ করার পরে ব্র্যান্ড কিভাবে প্রমোশন করে বা ধরে রেখে আয় করবেন

যোগাযোগ করার পরে ব্র্যান্ড কিভাবে প্রমোশন করে বা ধরে রেখে আয় করবেন এই প্রশ্নটি আপনার মনে আসতে পারে। তাহলে চলুন সেটারও উত্তর জেনে নেওয়া যাক, আপনি এড মালিক (সেই এডের জন্য যারা টাকা দিচ্ছে) এর সাথে যোগাযোগ করার পূর্বে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাদের ইউটিউব চ্যানেলের বা ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে আপনি এডগুলো দিবেন।

সেই ক্রিয়েটরদেরকে আপনি বলুন যে, “আমি (আপনি) আপনার পেইজের বা ইউটিউবের ভিডিওতে সফটওয়্যার বা সাইটের এড দিবো”। তখন সে আপনাকে পজিটিভ বা নেগেটিভ উত্তর দিবে। যাদের উত্তর হ্যাঁ হবে আপনি তাদের চ্যানেলে বা পেইজের নামগুলো লিখে সেই এডের মালিকের কাছে গিয়ে দিয়ে দিন এবং আপনি বলুন, “আমি (আপনি) এই চ্যানেল বা পেইজের ভিডিওতে আপনার সফটওয়্যারে বা সাইটের বা ব্র্যান্ডের এড দিবো”।

তখন দেখবেন তারা আপনাকে বলে দিবে যে আপনি যেই চ্যানেলের বা পেজের নাম দিয়েছেন তার মধ্যে সেই এড মালিক কোন চ্যানেলে বা পেজে কোন এডের জন্য কত টাকা দিবে বলে দিয়েছে। যদি সে একটি চ্যানেলের ভিডিওতে ১০ হাজার টাকা দেই আপনি সেই চ্যানেলের মালিককে ৭ হাজার বা ৮ হাজার টাকা দিন এবং বাকি ২ বা ৩ হাজার টাকা আপনি নিন যা আপনার লাভ। আর মনে রাখবেন এই টাকার পরিমাণ নির্ভর করে সেই চ্যানেলে কত মেম্বার তার উপর।

ফটোশুট করে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায়

ফটোশুট করে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেক শুনেছেন কিন্তু কোন ধরণের ফটোশুট আপনার জন্য লাভবান হবে আপনি কি সেটা কখনো ভেবেছেন? ফটোশুট অনেক ধরণের হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেই ফটোশুট চলে বা প্রয়োজন হয় তা হলো ওয়েডিং ফটোগ্রাফি। প্রতিদিন বা সপ্তাহে ২-৩ বার বা একবার কোনো না কোন জায়গায় বিয়ে তো হয় আর সেই বিয়েতে প্রয়োজন হয় একজন ফটোগ্রাফারের।

যেই ফটোগ্রাফার সেই সবকিছুর ছবি তোলে যা কিছু সেই বিয়ের বাড়িতে হয় আর তার জন্য সে ভালো পরিমাণ টাকা পেয়ে থাকে। কিন্তু এরজন্য একটি ক্যামেরারও প্রয়োজন হয়ে থাকে কিন্তু যেহেতু আপনি একজন ছাত্র মানুষ আপনার কাছে তো এত টাকা নেই যে আপনি একটি ক্যামেরা কিনবেন। সেক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন, সেই কাজটি হলো আপনি ক্যামেরা ভাড়াতে নিতে পারেন।

বর্তমানে এমন অনেক ফটোগ্রাফি স্থানীয় ক্যামেরা শপ কিংবা ক্যামেরা সরবরাহকারী মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনাকে ক্যামেরা ভাড়ায় দিবে বিয়ের বাড়িতে ফটোগ্রাফি করার জন্য যার ফলে যদি বিয়ের বাড়ির লোকজন ১০ হাজার টাকা দেয় তাহলে সেখান থেকে আপনি পান ৩-৪ হাজার টাকার মতো। আর যদি আপনার নিজের একটি ক্যামেরা থাকে তাহলে সেই ১০ হাজার (পুরো টাকাটাই) আপনার হবে।

ছাত্রজীবনে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার উপায়

ছাত্রজীবনে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার উপায় শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য করা যায়। অনেকে হয়তো ভাববেন এইভাবে কোনো ইনকাম করা যায় না সব ভুয়া কিন্তু আসলে আমি নিজেই ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করেছি। হয়তো আপনি এর আগে অনেক ভিডিও দেখে বা পোস্ট পড়ে তাদের কথামতো কাজ করে দেখেছেন কিন্তু কোনো ফলাফল পাননি তাই জন্য হয়তো আপনি ভাবছেন এগুলো ভুয়া।

বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বলে যে আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু কাজ করার পরে বুঝতে পারেন যে এগুলো ভুয়া। তাই জন্য আজকে আমি আপনার জন্য এমন একটি ওয়েবসাইট নিয়ে এসেছি যেখান থেকে আপনি ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। আপনি সেই সাইটের মাধ্যমে ইউটিউবের ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করুন এবং পেমেন্ট বিকাশে নিন

বলে রাখা ভালো যেহেতু এটি টাকা ইনকাম করার একটি সহজ উপায় তাই জন্য এখানে প্রথমে ইনকাম অনেক কম হবে আর আপনি সেই সাইটটিতে যত বেশি কাজ করবেন আপনার ইনকাম এবং ভিডিওর দেখার রেট বা প্রাইস তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর সেই সাইটটির নাম হলাে ওয়ার্কআপ জব, যদি আপনি সেখানে কাজ করতে না পারেন বা রেজিস্ট্রেশন করতে না পারেন অবশ্যই এই পোস্টটিতে ক্লিক করুন।

ছাত্রজীবনে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

ছাত্রজীবনে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে সকলেই শুনেছেন কিন্তু সেখান থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় বা কিভাবে ইনকাম আসে ইউটিউব থেকে সেটা কি জানেন? যদি জেনে না থাকেন কোনো সমস্যা নেই আজকে আমি আপনাকে সেই বিষয়ে যতটা সম্ভব আইডিয়া দিবো। ইউটিউব থেকে মূলত মনিটাইজ করে, মার্কেটিং করে, ব্র্যান্ড প্রমোট করাসহ আরও বিভিন্ন উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

তার মধ্যে আমি যেই তিনটির কথা উল্লেখ করলাম তা সবচেয়ে বেশি চলে এবং সেই ৩টি থেকে বেশি টাকা উপার্জন করা যায়, কিভাবে চলুন জেনে নিই। আপনি তিনটির মধ্যে যেই উপায়েই ইনকাম করতে চান না কেন আপনাকে প্রথমেই একটি ভিডিও বানিয়ে তা সুন্দর করে এডিট করে ইউটিউবে ছাড়তে হবে কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আপনার একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকা প্রযোজ্য।

এখন আসুন বলি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পাবলিশ করার পরে কিভাবে সেই ভিডিও থেকে আপনি আমার উল্লিখিত তিনটি উপায়ে ইনকাম করবেন। আপনি যদি কোনো ভিডিও ছাড়েন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে তাহলে তা বিভিন্ন মানুষ জন দেখবে আর এইভাবে আপনি ভিডিও ছাড়তে থাকবেন এবং মানুষজন ভিডিও দেখতে থাকবে। এইভাবে যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হবে এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম হবে তখন আপনি আপনার মনিটাইজ অপশন চালু করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

বাকি ২টি উপায়ের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

এখন আসি বাকি ২টি উপায়ের মাধ্যমে আপনি কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন। একই ভাবে আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে এবং অনেক যত বেশি পারেন তত মেম্বার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে জোগাড় করেন। তারপরে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করুন যারা তাদের সফটওয়্যার বা ব্র্যান্ড প্রমোট করে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিওতে, আপনি তাদেরকে বলুন যে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে আপনি তাদের সফটওয়্যার বা ব্র্যান্ড প্রমোট করতে চান এডের মাধ্যমে।

তখন তারা আপনাকে সেই এড প্রমোট করা জন্য টাকা দিবে আর তারা টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বার দেখে। তাই জন্য বললাম আপনি যত বেশি পারেন মেম্বার এড করান আপনার চ্যানেলে। আপনার ভিডিওতে মার্কেটিং করার বিষয়টিও প্রায়ই ব্র্যান্ড প্রমোট করার মতোই, শুধুমাত্র পার্থক্য এই যে আপনি সেখানে নিজেই ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট রিভিউ করেন এবং আপনার সাবস্ক্রাইবারকে ব্যবহার করতে বলেন।

আর তখন আপনার মাধ্যমে যতজন সেই প্রোডাক্ট বা ওয়েবসাইটের কোনো প্ল্যান ক্রয় করবে আপনি তখন সেই ক্রয় করার মধ্যে থেকে কিছু পার্সেন্ট লাভ হিসেবে পাবেন যা আপনাকে সেই প্রোডাক্টের মালিক বা যেই ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট প্রমোট বা মার্কেটিং করেছেন সেই ওয়েসাইটের মালিক প্রদান করবে। আর কত কি প্রদান করবে আপনি প্রথমে তাদের সাথে চুক্তি করে নেন যেন পরবর্তীতে কোনো রকম ঝামেলা না হয়।

ছাত্রজীবনে ওয়েবসাইট ভিজিট করে ইনকাম করার উপায়

ছাত্রজীবনে ওয়েবসাইট ভিজিট করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ টপিকটি পড়ুন। এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি অন্যান্য সাইট ভিজিট করে ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে এরকম কোনো সাইট হয়না আর যদি হয়ও তাহলে কি সম্পূর্ণ ফ্রিতে হবে? আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো হ্যাঁ, আপনি একদম সম্পূর্ণ ফ্রিতে সাইট ভিজিট করে ইনকাম করতে পারবেন।

এমন অনেক ওয়েবসাইটও আছে যারা টাকা দিবে বলে কিন্তু আসলে দেয় না। তাই জন্য আজকে আমি আপনার জন্য এমন একটি ওয়েবসাইট নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে আপনি শুধু মাত্র ওয়েবসাইট ভিজিট করেই নয় বরং সার্ভে করে এবং গেম খেলেও ইনকাম করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো যে, ছাত্রজীবনে আয় করা সহজ উপায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট ভিজিট করে ইনকাম করা তাই এই ধরণের কাজে ইনকামও খুব অল্প।

অর্থাৎ আপনি এখানে প্রথম কাজ করে যে প্রচুর টাকা পাবেন অর্থাৎ মাসে ২-৩ হাজার টাকা পাবেন অন্তত যারা এই ভেবে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই কাজ না। কেননা, এই ধরণের কাজও প্রথম প্রথম ইনকাম ভালো হয় না কিন্তু কাজ করতে থাকলে পরবর্তীতে সেই ইনকাম অনেকটা বেড়ে যাবে এবং মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাইটটির নাম হলো কয়েন-পে-ইউ, এই সাইটের ব্যাপারে আমি এর আগেও আমার একটি পোস্টে বলা হয়েছিল যা নিচে দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন: ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ৫টি অসাধারণ সাইট

ছাত্রজীবনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ছাত্রজীবনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি আপনাকে ছাত্রজীবনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এবং তার জন্য আপনার ভিতরে কেমন দক্ষতা থাকা প্রয়োজন সেই বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলবো। সর্বপ্রথম কথা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এ মূলত কোন ধরণের কাজ হয়ে থাকে।

ছাত্রজীবনে-মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-টাকা-ইনকাম-করার-উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটি নয় বরং একাধিক কাজ মিলে গঠিত অর্থাৎ এর মধ্যে অনেক ধরণের কাজ রয়েছে যেমন, আর্টিকেল রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরও অনেক কাজ রয়েছে কিন্তু আপনি মোবাইলে করতে পারবেন এমন কিছু কাজ বলছি যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যেই পড়ে। তার মধ্যে সহজ এবং মোবাইলে করা যাবে এরকমও কিছু কাজ রয়েছে যা আমি নিচে বর্ণনা করছি।

আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার ৭টি অসাধারণ টিপস

মোবাইলে করা যাবে এমন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: আর্টিকেল রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফেসবুক বা ইউটিউব মার্কেটিং, রিসেলিং ইত্যাদি। এখানে আরও অনেক কাজ রয়েছে কিন্তু আপনার জন্য এগুলো সবচেয়ে ভালো হবে কেননা এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পড়ে, তুলনামূলক সহজ এবং মোবাইলে করতে পারবেন খুব সহজেই। এগুলো কাজ কিভাবে করবেন সেগুলো বিস্তারিত ভাবে আমার অন্যান্য পোস্টে বলা আছে তাই আর বলছি না, কেননা বিস্তারিত বললে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে এবং আপনারও পড়তে বোরিং লাগতে পারে।

সবশেষে ছাত্রজীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ

আশা করছি আপনি আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। এখন আসুন আমি আপনাকে বলি আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার জন্য কোন মাধ্যম সবচেয়ে ভালো হবে ইনকাম করার জন্য। আপনি যেহেতু একজন স্টুডেন্ট তাই জন্য আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো অন্যের হোমওয়ার্ক বা সমস্যা সমাধান করার মাধ্যমে ইনকাম শুরু করার জন্য। কেননা এর মাধ্যমে আপনার পড়ার বড় কোনো ক্ষতিও হবে না এবং ভালো ইনকামও হবে।

কেননা, এখানে একটি পিডিএফ এর মূল্য ১০ ডলার যা আপনি পাচ্ছেন ফ্রিতে যদি আপনার দেওয়া পিডিএফ, ছবি বা ডকুমেন্ট কেউ ডাউনলোড করে তাহলে। তাছাড়া আপনি যদি একটু বেশি পরিশ্রম দিতে পারেন এবং ভালো ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে আপনি ফটোশুট করে কিংবা মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এই দুইটি কাজেও প্রচুর ইনকাম করা যায় যদি আপনি একটু পরিশ্রম করতে পারেন।

আর যদি আপনি বলেন যে, আপনার এত ইনকামের বা টাকার প্রয়োজন নেই অল্প পরিশ্রম দিতে চান, তাহলে আমি আপনাকে ওয়েবসাইট ভিজিট করে বা ভিডিও দেখে টাকা ইনকামের পরামর্শ দিবো যদিও এখানে প্রচুর কম ইনকাম করা যায় কিন্তু আপনার জন্য ভালো হতে পারে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। যদি আজকের এই পোস্টে কোনো প্রকার ভুল দেখতে পান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে বা যোগাযোগের মাধ্যমে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url