ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় অনেকেই জানেন না। বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা বাড়ছে, তাই জন্য ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে করা প্রতারণা থেকে আপনাকে বাঁচানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিয়ে এসেছি।

ভুয়া-হেল্পলাইন-নাম্বারের-প্রতারণা-থেকে-বাঁচার-উপায়

আপনি যদি না জেনে থাকেন ভুয়া হেল্পলাইন সম্পর্কে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি আজকে এখানে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা কিভাবে হচ্ছে এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় আপনার জানা অনেক প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কেননা, বর্তমান যুগটি হচ্ছে টেকনোলজির যুগ, অনলাইনের যুগ। তাই এখন প্রতারণা করার জন্য শুধু প্রতারককে সামনা-সামনি হতে হবে এরকম না, সে চাইলে নিজের বাড়িতে বসে বসে আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারবে। কিন্তু তাই বলে কি আপনি তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দিবেন এবং আপনার সকল গোপন এবং পার্সোনাল তথ্য দিয়ে দিবেন?

আপনি যেন আপনার গোপন ও পার্সোনাল তথ্য সেই প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন তাই জন্য কিছু বেসিক টিপস নিয়ে এসেছি আপনার জন্য যার মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্য চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এমন অনেক ধরণের উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্য বাঁচাতে পারবেন এবং প্রতারিত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। বর্তমানে প্রতিনিয়তই ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা বাড়ছে

হতে পারে আপনিও ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বা হবেন, যেন আপনাকে প্রতারণার শিকার না হতে হয় তাই জন্য আজকের এই পোস্টটি মূলত নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে আপনাকে এমন সকল উপায় দেখানো হবে যার মাধ্যমে আপনি প্রতারিত হতে পারেন এবং সেগুলো প্রতারিত সাইট বা ব্যক্তির কাছ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই পোস্টটি পড়েন তাহলে হতে পারে আপনার মূল্যবান তথ্যও প্রতারকদের কাছে পৌছবে না।

ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা বাড়ছে

ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা বাড়ছে দিনের পর দিন। প্রতারকরা অনেক ধরণের মাধ্যম বা আইডিয়া বের করেছে যার মাধ্যমে তারা খুব সহজেই যে কাউকে প্রতারিত করতে পারবে। কোনো প্রতারক ফিজিক্যালি প্রতারণা করে আবার কোনো প্রতারক অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণা করে। যেহেতু বর্তমানে অনলাইনেই জিনিসপত্র সবচেয়ে বেশি চলে এবং মানুষজনও অনলাইনেই বেশি নির্ভরযোগ্য হয়ে পড়েছে তাই জন্য অনলাইনের মাধ্যমেই প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বর্তমানে।

অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা হচ্ছে বর্তমানে যেমন ফিশিং এর মাধ্যমে, এসএমএস এর মাধ্যমে, আইভিআর কলের মাধ্যমে, আসল সাইটের মতো দেখতে সাইটের মাধ্যমে, ভুয়া সাপোর্টের মাধ্যমে এবং ভুয়া ইকমার্স সাইটের মাধ্যমসহ আরও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনাকে প্রতারণা করতে পারে প্রতারকরা। তাই জন্য আজকে আপনাকে সে সকল উপায় বা এমন উপায় জানতে হবে যার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করা হচ্ছে।

তাই আশা করছি আপনি এখান থেকে কয়েকটি মাধ্যম জানতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনাকে প্রতারণা করা যেতে পারে বা হতে পারে, তাছাড়া এই বিষয়ে জানানোর জন্য আমি যথাসম্ভব চেষ্টা আরেকটি পোস্ট নিয়ে আসার যেখানে আপনাকে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে প্রতারণা কিভাবে, কোথায় থেকে এবং কিসের মাধ্যমে হচ্ছে জানতে পারবেন। আজকে মূলত কথা বলে নিই ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় কি কি হতে পারে?

অনলাইনে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

অনলাইনে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ এই পোস্টের এই টপিকটি পড়ুন মনোযোগ দিয়ে। বর্তমানে অনলাইন ছাড়া কোনো কাজই হয়না আর তাই জন্য এটির সুযোগ উঠিয়ে প্রতারকরা অনলাইনের মাধ্যমে ভুয়া হেল্পলাইন বা নাম্বারের মাধ্যমে আপনাকে প্রতারণা করছে বা করার চেষ্টা করছে। এখন আপনি প্রতারণা হওয়ার ভয়ে বা আশঙ্কাই কি ইন্টারনেট ব্যবহার করাই ছেড়ে দিবেন?

জি না, তা করার কোনো দরকার নেই। কেননা, আপনি যদি একটু সাবধানতা অবলম্বন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে অনেকটাই বেঁচে যাবেন। সাধারণত অনলাইনে ফেক ওয়েবসাইট, ভুয়া লিংক এবং ফেক সাপোর্ট পেইজের মতো সাইট বা উপায়ের মাধ্যমে প্রতারকরা প্রতারিত করে থাকে। আপনি যদি এগুলোর দিক থেকে সাবধানতা অবলম্বন করেন তাহলে আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

অর্থাৎ যদি আপনাকে কেউ কোনো লিংক দেই তা চেক করা, কোনো কিছু কেনার আগে প্রোডাক্ট ভালোভাবে চেক করে ক্রয় করা, অপরিচিত কেউ কোনো ইনফরমেশন দিতে বললে তা চেক করে দেওয়া কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড করার সময় সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করাসহ বিভিন্ন উপায় রয়েছে যা আমি নিচে বর্ণনা করেছি সেগুলো সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন: অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে - জেনে নিন ৭টি অসাধারণ টিপস

ফিশিং এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

ফিশিং এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় জানার আগে চলুন জেনে নিই ফিশিং জিনিসটা কি? ফিশিং মূলত প্রতারকরা বা কোনো হ্যাকার ব্যবহার করে বা করতে পারে। তারা যখন এমন কোনো লিংক তৈরি করে যা দেখতে আসল ওয়েবসাইটের লিংকের মতো। কিন্তু হ্যাকার বা প্রতারকের লিংকটিতে বা নকল লিংকটিতে ক্লিক করলে আপনার ডিভাইসটি সম্পূর্ণরুপে হ্যাক হয়ে যায় বা প্রতারকের কন্ট্রোলে চলে যায় যার ফলে আপনার সকল তথ্য তাদের কাছে চলে যায় আর এই প্রক্রিয়াটিকেই মূলত বলা হয় ফিশিং।

এখন আসি আপনি বুঝবেন কিভাবে যে আপনাকে যে লিংক দেওয়া হয়েছে বা আপনি যে লিংকে ক্লিক করতে চাচ্ছেন তা ভুয়া নাকি রিয়েল। এটা জানার আপনাকে আপনার মনোযোগ দিয়ে লিংকটি দেখতে হবে অর্থাৎ সেই লিংকে ওয়েবসাইটের নাম ঠিকাছে কিনা? ধরা যাক ফেসবুকের লিংক আপনাকে কেউ দিয়েছে এখন আপনি সেই লিংকটি ভালো করে দেখুন সেখানে প্রথমে https:// আছে কিনা, তারপরে দেখুন www আছে কিনা এবং এরপরে ফুলস্টপ(.) আছে কিনা?

ফিশিং-এর-প্রতারণা-থেকে-বাঁচার-উপায়

তারপরে তারপরে দেখুন আসল জিনিস অর্থাৎ ডোমেইন নেম ঠিকাছে কিনা অর্থাৎ আপনি যদি ফেসবুকের লিংক পান তাহলে তার সঠিক ডোমেইন নেম হবে facebook কিন্তু ভুলটি হতে পারে faceboook বা faceebook বা facebok ইত্যাদি হতে পারে। তাই জন্য প্রত্যেকটি সাইটের ডোমেইন নেম ভালোভাবে চেক করবেন কেননা পুরা দুনিয়াতে একই নামের একটিই ডোমেন হবে একাধিক হওয়া অসম্ভব। তারপরে দেখবেন ডোমেইন এক্সটেনশন অর্থাৎ ফেসবুকের ডোমেইন এক্সটেনশন .com, ইউটিউবের ডোমেইন এক্সটেশন .com, উইকিপিডিয়ার এক্সটেনশন .org ইত্যাদি। আপনি যদি এগুলো ভালো ভাবে চেক করেন এবং দেখেন সবকিছু ঠিকাছে তাহলে বুঝবেন সাইটটি রিয়েল আর ঠিক না থাকলে সাইটটি ফেক।

স্ক্যাম কল এবং এসএমএস এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

স্ক্যাম কল এবং এসএমএস এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় জানার আগে চলুন জেনে নিই কল বা এসএমএস এর মাধ্যমে প্রতারকরা কিভাবে প্রতারণা করতে পারে। ধরুন আপনার কাছে একটি ফোন আসলো এবং আপনি রিসিভ করলেন ফোনটি। এখন ফোনের ঐপাশ থেকে আপনাকে বললো যে, “স্যার আপনার বিকাশ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটু সমস্যা হয়ে গেছে, সমস্যাটি দূর করার জন্য আপনি আমাকে একটি কোড দেন যা আপনার কাছে মেসেজ হিসেবে গেছে”।

এখন আপনি সরল মানুষ ভাবছেন যে, লোকটি মনে হয় সত্য কথাই বলছে এবং এই ভেবে আপনি আপনার কোডটি দিয়ে দিলেন। কোডটি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আপনার ব্যাংক বা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নাই হয়ে গেছে, এরকমটা প্রায়ই হয়ে থাকে। আবার এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে বলা হলো আপনি লটারিতে ৫০ হাজার টাকা জিতেছেন, যদি আপনি টাকাটি নিতে চান তাহলে (01*****) এই নাম্বারে ১০০০ বা ২০০০ টাকা পাঠিয়ে দেন।

এখন আপনি সেই ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য তাকে ২০০০ টাকা পাঠিয়ে দিলেন তারপরে দেখবেন আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তাই বলছি এরকম কোনো ফোন বা মেসেজ আসলে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া আপনার ব্যাংক কিংবা বিকাশ অ্যাকাউন্টে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিকাশ অ্যাপের ভিতরে গিয়ে দেখুন আর যদি সেটা সমাধান করতে চান তাহলে আপনি সেই সফটওয়্যারের অ্যাকাউন্টের মেইন অফিসে গিয়ে কিংবা সেই সফটওয়্যারের সাপোর্ট থেকে সমাধান করে নিন।

ভুয়া ইকমার্স সাইট এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

ভুয়া ইকমার্স সাইট এর প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইকমার্স সাইট বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ইকমার্স সাইট মূলত সেই ধরণের ওয়েবসাইটকে বলে যেই ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রয় করা হয় যেমন: দারাজ, বিক্রয় ডট কম, আলি-বাবা ইত্যাদি। এই ধরণেরও এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে প্রতারকরা মানুষকে খুব সহজেই বোকা বানাতে পারছে অর্থাৎ প্রতারিত করতে পারছে।

সাধারণভাবে তারা এমন কোনো ওয়েবসাইট বানায় যেখানে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রয় করা যায়, তারপরে তারা সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রয় করার জন্য বিজ্ঞাপন দেই। যেই বিজ্ঞাপন দেখে আপনার ইচ্ছা হতে পারে সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করার। কিন্তু আপনি যখন সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করতে যাবেন তখন আপনাকে তাদের বিভিন্ন শর্তসমূহ মানতে হবে, তার মধ্যে বিশেষ একটি শর্ত হচ্ছে বিকাশে বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিলে তারা আপনাকে প্রোডাক্ট দিবে।

যার ফলে আপনার ২টি ক্ষতি হতে পারে একটি হচ্ছে আপনি আর প্রোডাক্টটি হাতে পাবেন না আরেকটি হচ্ছে যদি প্রোডাক্টটি হাতে পান তাহলে তা সেই প্রোডাক্টটি হবে না যেটা আপনি পছন্দ করেছেন কিংবা প্রোডাক্টটি নষ্ট হওয়া হতে পারে। আবার আপনি সেটার রিপোর্ট করার জন্য বা ফেরত দেওয়ার যদি তাদেরকে ফোন দেন বা সাপোর্ট চান তাদের পেইজ থেকে, তখন তারা আপনার সঙ্গে কথা না বলার জন্য ভুল তথ্য দেয়। তাই কোনো কেনাকাটা করতে চাইলে অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য সাইট থেকে ক্রয় করুন।

আরও পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় জেনে নিন বিস্তারিত

বিভিন্ন সাইটের ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

বিভিন্ন সাইটের ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় জানার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে কোন সাইটগুলোর হেল্পলাইন এবং নাম্বার ভুয়া যার মাধ্যমে তারা প্রতারণা করছে। আসলে প্রতারকরা বিভিন্ন ধরণের ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে থাকে যেখানে থাকতে পারে আপনার পছন্দের কোনে জিনিস যেমন ধরুন: লটারির টিকেট, দ্রুত অনলাইনে ইনকামের এড, পছন্দের সিনেমা কিংবা হতে পারে পছন্দের প্রোডাক্ট যা আপনি ক্রয় করতে ইচ্ছুক।

এখন ধরুন আপনি কোনোভাবে ঐ ধরণের ওয়েবসাইটে চলে গেলে যাওয়ার আপনার পছন্দে প্রোডাক্ট ক্রয় করলেন বা কোনো দরকারি সফটওয়্যার ডাউনলোড করলেন এবং তারা আপনার কাছ থেকে টেকনিক্যালি এমন কিছু তথ্য নিয়ে নিলো যার মাধ্যমে আপনার ডিভাইস হ্যাক করে আপনার পার্সোনাল তথ্য বা গোপন তথ্য বের করে নিতে পারে। আর সেই তথ্য অন্য কোনো জায়গায় বিক্রয় করে আপনার ক্ষতি করতে পারে কিংবা আপনার তথ্য আপনাকেই ফেরত দেওয়ার জন্য আপনার কাছ থেকে টাকা দাবি করে।

আবার আপনি এর সলিউশানের জন্য যদি সেই সাইটের সাপোর্ট থেকে কোনোরকম সাহায্য নিতে চান তাহলে দেখবেন আপনি তাদের কাছ থেকেও কোনোরকম সাহায্য পাবেন না। কেননা, তাদের সাইটটিই ভুয়া এবং তাদের সাইটের সকল তথ্য ও সাপোর্ট পেইজটাও ভুয়া তাই জন্য আপনি এখান থেকে কোনো সাপোর্ট পাবেন না। তাই জন্য আপনি সফটওয়্যার ডাউনলোড, প্রোডাক্ট ক্রয়-বিক্রয়, মুভি দেখাসহ বাকি যেকোনো কাজ কোনা ট্রাস্টেড অর্থাৎ বিশ্বস্ত কোনো সাইটে কাজ করেন।

বিশ্বস্ত সাইটের ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

বিশ্বস্ত সাইটের ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক আদৌ কি বিশ্বস্ত সাইটের হেল্পলাইন এবং নাম্বার ভুয়া হয় হলেও কেন হয়? আসলে বর্তমানে হ্যাকাররা বা প্রতারকরা কোনো ভুয়া ওয়েবসাইট বানায় না বরং আসল ওয়েবসাইটেই একটি বিশেষ কোনো লিংক বা ইউআরএল এর মাধ্যমে বিভিন্ন এড তৈরি করে যেখানে ক্লিক করে মানুষ সরাসরি তাদের সাপোর্ট পেজে প্রবেশ করবে। কিন্তু ইউজাররা সাপোর্ট পেজে না গিয়ে চলে যায় প্রতারকের বানানো সাপোর্ট পেজে যা দেখতে হুবহু আসল সাইটের মতো।

প্রতারকের নাম্বারে ফোন করলে বা তাদের লিংকে ক্লিক করলে তাদের বিভিন্ন ইনফরমেশন তারা নিয়ে নিতে পারে, যার ফলে সেই ইউজারদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়। তাই জন্য আপনাকে সেই সকল ভুল করা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি আপনার কোনো এমন সমস্যা হয় যাতে করে সেই সকল সাইটে হেল্পলাইন থেকে সাহায্য নিতে হবে তাহলে অবশ্য আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তাদের নাম্বার জোগাড় করুন।

হয়তো আপনি তাদের সাপোর্ট লিংক বা তার এড পেয়ে যাবেন তাদের সাইটের নাম লিখে সার্চ দিলে কিন্তু সেখানে না গিয়ে আপনি সেই ওয়েবসাইটের হোমপেজে যান যেই সাইটের প্রয়োজন আপনার। তারপর সেখান সাপোর্ট পেজে বা সেই সাইট থেকে হেল্পলাইন নাম্বার জোগাড় করে আপনার সমস্যার সমাধান করে নিন। যদি এমনটি না করেন তাহলে আপনি প্রতারকদের ফাঁদেও পড়তে পারেন এবং আপনার মূল্যবান তথ্য হাত ছাড়া করে ফেলতে পারেন।

যেকোনো ভাবে আপনি প্রতারিত হলে তার উপর একশন নেওয়ার উপায়

যেকোনো ভাবে আপনি প্রতারিত হলে তার উপর একশন নেওয়ার উপায় কি আপনি জানেন? যদি জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই টপিকটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি উপরের সকল তথ্যানুযায়ী কাজ করেছেন বা নিজের ইনফরমেশনকে সেফ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তবুও আপনি আপনার তথ্যগুলো রক্ষা করতে পারেননি তাহলে আপনি এখন কি করবেন।

যেকোনো-ভাবে-আপনি-প্রতারিত-হলে-তার-উপর-একশন-নেওয়ার-উপায়

আপনি এখন অনেক কয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারেন যার ফলে আপনার চুরি হওয়া তথ্য ফেরতও পেতে পারেন। প্রথমত আপনি সেই জায়গা বা সাইটের সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে কথা বলেন যেই জায়গা বা সাইটে থাক অবস্থায় বা ঢুকার সময় আপনার তথ্য চুরি হয়েছে অর্থাৎ তাদের কাস্টমার কেয়ারে রিপোর্ট করেন আপনার বিষয়টি জানিয়ে।

তারপরে আপনি সেখানকার স্থানীয় থানায় জিডি করেন কিংবা 999 এ কল দিয়ে আপনি তাদেরকে রিপোর্ট করুন যে আপনার তথ্য কিভাবে চুরি হয়েছে বা হ্যাক হয়েছে। তখন তারা কোনো পদক্ষেপ নিশ্চয়ই গ্রহণ করবে এবং আপনার তথ্য সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করবে। আর ভবিষ্যতে যেন এরকম না হয় তার জন্য সচেতন থাকুন এবং পারলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রাখুন কিংবা কোথায় কখন কি করছেন তার রেকর্ডিং রাখুন প্রমাণ হিসেবে।

সবশেষে ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য কিছু পরামর্শ

আশা করছি আপনি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লেন এবং ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বার দিয়ে যারা প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে আপনি এবং আপনার তথ্য কিভাবে বাঁচবেন তা জানতে পেরেছেন। কিন্তু তবুও মানুষ মাত্রই ভুল বিধাই আমি আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং কাজ বলে দিবো যার মাধ্যমে আপনি ভুয়া হেল্পলাইন নাম্বারের প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবেন, আর আমি যেই তথ্যগুলো দিবো আপনাকে সেই তথ্যানুযায়ী কাজটি অবলম্বন করবেন কিভাবে সেটিও এই পোস্টেই বলা আছে।

আপনি যদি ইন্টারনেট বেশি চালান অর্থাৎ অনলাইনে বেশি একটিভ থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই কয়েকটি বিষয়ের উপর বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন যেমন: অচেনা কোনো লিংকে ক্লিক না করা, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যাচাই বাছাই করে বিশ্বস্ত মনে হলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই সেই লিংকে ক্লিক করুন। তাছাড়া লোভ করে কোনো তথ্য, ভেরিফিকেশন কোড ইত্যাদি দিবেন না কেননা কথায় আছে “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু”।

তাছাড়া কোনো সাইটে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই চেক করুন অর্থাৎ যাচাই করুন যে সাইটটি বিশ্বস্ত নাকি ফেক, কেননা আপনার একটা ভুল আপনার সকল তথ্য হারানোর জন্য যথেষ্ট। সাপোর্ট পেজেও ঢুকার পূর্বে উল্লিখিত শর্ত বা পরামর্শ যাই বলেন না কেন মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনি এবং আপনার তথ্য সর্বদা সেফ থাকবে। তাও যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আইনের ব্যবস্থা নিন এবং যেই সাইটের মাধ্যমে প্রতারক প্রতারণা করেছে আপনার সাথে সেই সাইটের কাস্টমার কেয়ারে রিপোর্ট দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url