কম সময়ে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো জানুন

আপনি কি কম সময়ের মধ্যে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য, এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন মোটা হওয়ার পদ্ধতি কি সেই সম্পর্কে।

কম-সময়ে-মোটা-হওয়ার-ঘরোয়া-উপায়-গুলো-জানুন

আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন মোটা হওয়ার সহজ ও ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্র | মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

পুষ্টিকর খাবার বেশি খাওয়া হলো মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনার জন্য সর্বপ্রথম ধাপ বা পরামর্শ হতে পারে পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খাওয়া।

হয়তো আপনি মোটা হওয়ার জন্য ফাস্টফুড বা আজে-বাজে খাবার বেশি বেশি খাচ্ছেন কিন্তু সেটাতে আপনি মোটা হচ্ছেন না বডরং টাকাই বেশি খরচ হচ্ছে।

তাই জন্য আপনি দুধ, ডিম, কলা কিংবা ভাতের সাথে গোশত খেয়েও বেশি থেকে বেশি ক্যালরি নিজের বডিতে জমা করতে পারেন এবং আপনি মোটা হতে পারেন। আর পুষ্টিকর খাবার বেশি খাওয়ার এই উপায়টি হতে পারে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম একটি উপায়।

দুধ-কলার স্মুদি খাওয়া হতে পারে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আপনি কি জানেন, দুধে থাকে ফ্যাট ও প্রোটিন আর কলায় রয়েছে উচ্চ ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক মিষ্টি। তাই জন্য এইগুলো হতে পারে আপনার জন্য মোটা হওয়ার সেরা উপায়।

আপনি যদি দুধ ও কলার মিশ্রণ খান তাহলে আপনার জন্য সেই মিশ্রণটি হতে পারে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে সেরা একটি উপায়।

দুধ-কলার-স্মুদি খাওয়া -হতে-পারে-মোটা-হওয়ার-ঘরোয়া-উপায়

এই মিশ্রণটি মোটা করার সাথে সাথে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। তাই আপনার শরীর যদি সবসময় দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই মিশ্রণটি খেয়ে দেখতে পারবেন। আশা করছি উপকার পাবেন।

প্রতিদিন ঘি ও মাখন খাওয়া মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

গিয়ে ও মাখন এই দুইটি খাবার আপনারা সবাই চিনেন। কেউ কেউ এগুলো ভাত দিয়ে দেখায় আবার কেউ কেউ পাউরুটি দিয়েও খায়। আপনি কি জানেন একই ও মাখন খেয়েও আপনি মোটা হতে পারেন?

ঘিতে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যাহা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। অপরদিকে মাখনে রয়েছে ক্যালোরি ও ভিটামিন, যা পেশীকে শক্তিশালী করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

তাই আপনি চাইলে প্রতিদিন ঘি ও মাখন খেয়েও মোটা হতে পারেন। আর এই উপায়টিও মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় এর মধ্য থেকে একটি উপায়।

প্রোটিন লাড্ডু খাওয়া একটি মজাদার মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আমরা সকলেই কমবেশি লাড্ডু খেয়েছি কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে, লাড্ডু খাওয়ার মাধ্যমে ও মোটা হওয়া যায়! তাহলে চলুন সে সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।

প্রোটিন লাড্ডু মূলত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যেমন: ছোলা, বাদাম, কাজু, ড্রাই-ফ্রুটস, ঘি, নারীকেল ইত্যাদি জিনিসপত্র দিয়ে বানানো হয়ে থাকে, যা খুব সুস্বাদু লাগে খেতে।

বাহিরের অপুষ্টিকর খাদ্য বা কোন ঔষধ না খেয়ে যদি প্রোটিন লাড্ডু খান তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও বেঁচে যাবেন এবং আপনি মোটাও হতে পারবেন খুব সহজেই। তাই আপনি প্রোটিন লাড্ডু খেয়ে মোটা হতে পারেন।

দিনে ৫ বার খাওয়া শুরু করাও মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে একটি ভালো উপায় হচ্ছে দিনে পাঁচবার খাওয়া শুরু করা। আপনি মূলত দিনে তিনবার খান সকালে, দুপুরে, এবং রাতে যা সব মানুষই খায়।

কিন্তু আপনি যেহেতু মোটা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে আপনি তিন বেলা বেশি বেশি না খেয়ে পাঁচ বেলা খান। যার ফলে আপনার শরীর ক্যালোরি গুলো সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারবে এবং সঠিক নিয়মে কাজ করতে পারবে আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহ।

তাই জন্য মোটা হওয়ার জন্য আপনি খান কিন্তু একবারে না খেয়ে পাঁচ বারে খান। তাহলে আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে এবং সহজেই মোটাও হতে পারবেন।

ব্যায়াম ছাড়াই খাওয়ার নিয়ম মানা মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আপনি কি জানেন ব্যায়াম ছাড়াও মোটা হওয়া সম্ভাব! যদি জেনে না থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই আজকে জেনে যাবেন, কেননা আমি আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

ব্যায়াম এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে আপনি মোটা থেকে চিকন হতে পারবেন এবং চিকন থেকেও মোটা হতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ব্যায়াম করতে না চান বা ব্যায়াম করতে বিরক্ত লাগে তাহলেও আপনি মোটা হতে পারবেন।

ব্যায়াম-ছাড়াই-খাওয়ার-নিয়ম-মানা-মোটা-হওয়ার-ঘরোয়া-উপায়

সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং উপরে উল্লেখিত সকল খাদ্য সঠিক সময় এবং সঠিক নিয়মে গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আপনি ব্যায়াম ছাড়াও মোটা হতে পারবেন।

সহজ অভ্যাস গড়ে তোলাও মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

মোটা হওয়া বলতে শুধু খাওয়া বেশি পরিমানে করা নয়। এমন কিছু সহজ অভ্যাস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই মোটা হতে পারবেন।

তাই আপনাকে সেই সহজ অভ্যাস গুলো আয়ত্তে অনতে হবে যেন আপনি সেই অভ্যাস গুলোর মাধ্যমে মোটা হতে পারেন। অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি অভ্যাস হলো সঠিক পরিমানে ঘুমানো।

সঠিক পরিমানে যদি আপনি ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনি যেকোন কাজই সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন। সকলেরই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়, আর এই ঘুমটি সকলেই সুষ্ঠু ঘুম হিসেবে নির্বাচন করেন।

আরও পড়ুন: ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সবশেষে আপনার জন্য পরামর্শ | মোটা থেকে চিকন হওয়ার ঘরোয়া উপায়

আশা করছি, আপনি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন মোটা হওয়ার পদ্ধতি কি সেই সম্পর্কে। এখন আমি আপনাকে এই বিষয়ের উপরে কিছু পরামর্শ প্রদান করবো যা আপনার জন্য উপকারী হবে।

আপনি যদি আমার উপরে দেওয়া সকল তথ্য মেনে কাজ করেন এবং সবকিছু সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে পালন করেন, তাহলে আপনিও মোটা হতে পারবেন কম সময়ের মধ্যে।

মোটা হওয়ার এই পদ্ধতি সমূহ আপনার জন্য মোটা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে গণনা হতে পারে। যদি আমাদের এই পোস্টটে কোনো রকম ভুল হয়ে থাকে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url