অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ১০টি সেরা উপায়

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের পোস্টে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হবে।

অনলাইনে-মাসে-৩০-হাজার-টাকা-আয়-করার-১০টি-সেরা-উপায়

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়গুলো জানতে পারবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। আর তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণটি পড়তে হবে, যেন আপনি সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন ইনকামের বিষয়ে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলো জানুন

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানার পূর্বে জেনে নিন যে, আপনি অনলাইনে ইনকাম করার জন্য উপযোগী কিনা অর্থাৎ আপনার জন্য অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা কি সম্ভব নাকি সম্ভব না। অনলাইনে কাজ করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করা আপনার পক্ষে সম্ভব কিন্তু তার জন্য আপনার ভিতরে কয়েকটি অভ্যাস রাখতে হবে।

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকামের জন্য আপনার সর্বপ্রথম অভ্যাস এবং গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হিসেবে রাখতে হবে ধৈর্য। আপনি যদি ধৈর্য ধরে অনলাইনে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি ধৈর্য ধরে কাজ করতে না পারেন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন না। দ্বিতীয় অভ্যাস হিসেবে প্রচুর পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে আপনার ভিতরে।

আপনি যদি একদিন কাজ করে বলেন যে “কাজগুলো খুব কঠিন”, এই বলে কাজ ছেড়ে দিলেন তাহলে আপনার এটা পরিশ্রম হলো না। আবার পরিশ্রম করে কাজ করছেন ১ মাস ধরে কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছেন না আর পেলেও অনেক কম, এইজন্য আপনি কাজ ছেড়ে দিলেন অর্থাৎ আপনি ধৈর্য ধরেও কাজ করতে পারলেন না। আর এগুলো করলে ইনকামও হবে না আপনার, তাই জন্য আপনার উচিৎ ধৈর্য ধরে এবং পরিশ্রম করে কাজ করা অনলাইনে তাহলেই আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে বই বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

অনলাইনে বই বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টের এই টপিকটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হতে পারে। বাস্তব জীবনে তো আপনি হয়তো অনেক বই লিখেছেন এবং তা বিক্রয় করেছেন বিভিন্ন লাইব্রেরিতে, যদি আপনি নাও করে থাকেন তাহলে অন্তত দেখেছেন তা করতে। আপনি চাইলে একইভাবে অনলাইনের মাধ্যমেও আপনার লিখা বই বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারেন।

আর তার জন্য আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে আর তা হলো, সর্বপ্রথমে আপনাকে আপনার হাতে লিখা বইটি একটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক্সে লিখতে হবে পিডিএফ আকারে। তারপরে আপনাকে সেই বইটির জন্য একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় কভার ফটো বানাতে হবে যা প্রত্যেকটি বইয়ের একবারেই উপরে থাকে (যেটা দেখে আমরা বই পছন্দ করি)। তারপরে আপনাকেও সেই ছবিটি আপনার পিডিএফ বইয়ের একবারে ১ম পেইজে দিয়ে রাখতে হবে।

এখন আপনার বই রেডি ওয়েবসাইটে বিক্রয় করার জন্য। বই বিক্রয় করার এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার যেকোনো বই বিক্রয় করতে পারবেন যেমন: গুগল প্লে বুকস, গুমরোড, পেহিপ, সেইবুক এবং রকমারি সহ এমন আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার বানানো বইগুলো পিডিএফ আকারে বিক্রয় করে সেখান থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইনে ছবি বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

অনলাইনে ছবি বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চাইলে এই টপিকটি অবশ্যই পড়বেন। তাহরে আশা করা যায় আপনি এই সম্পর্কে কিছু শিখতে ও জানতে পারবেন। অনলাইনে ছবি বিক্রয় করার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথাই রাখবেন যেমন: উচ্চ রেজুলেশন, ক্লিন ছবি হওয়া, ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিষয় না থাকা, ব্লার অর্থাৎ ঝাপসা ছবি না হওয়া এবং ছবিতে অতিরিক্ত এডিটিং না করা।

একটি ছবি তোলার সময় অবশ্যই এই কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখবেন। আর বিক্রয় করার জন্য ছবি মূলত ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তোলাই ভালো কিন্তু যদি আপনার কাছে ভালো কোনো ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি মোবাইল দিয়েও ছবি তুলতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখবেন যতটা সম্ভব উপরে দেওয়া রিকওয়ারমেন্ট গুলো অনুযায়ী ছবি তোলার চেষ্টা করবেন এবং আলোতে ছবিতো তোলার চেষ্টা করবেন।

ছবি তোলার পরে আপনি এডোবি স্টক, শাটার স্টক, অ্যালামি এবং ড্রিমসটাইম সহ আরো অন্যান্য ওয়েবসাইটে যখন ছবি পাবলিশ করবেন বিক্রয় করার জন্য তখন টাইটেল, ট্যাগ ও ডেসক্রিপশন ঠিকঠাকভাবে দিবেন যেন ডাউনলোড বেশি আসে। আর কখনো অন্য কারো ছবি ও গুগল থেকে নেওয়া ছবি বিক্রয় করার চেষ্টা করবেন না কেননা সেগুলো কপিরাইটের মধ্যে পড়ে।

ছবি তৈরি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

ছবি তৈরি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব যদি আপনি সঠিক নিয়ম ও উপায় জেনে থাকেন তাহলে। একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ছবি তৈরি করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা একটি মোবাইল ফোন প্রয়োজন হবে। কম্পিউটার এবং মোবাইলে এমন অনেক সফটওয়্যার ও এপস রয়েছে যা আপনাকে একটি সুন্দর ছবি তৈরি করতে সাহায্য করবে অর্থাৎ আপনি সেই সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

আপনি ছবি তৈরি করতে পারবেন এরকম কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলো হলো: ক্যানভা, এডোবি ফটোশপ এবং পিক্সআর্ট সহ আরো কিছু সফটওয়্যার রয়েছে কিন্তু এগুলো অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার। যাদের এই সফটওয়্যারগুলো চলে না তারা চাইলে ফটোপিয়া ওয়েবসাইটেও ছবি বানাতে পারেন, এই ওয়েবসাইটটি এডোবি ফটোশপের মতো কাজ করবে। আপনি এগুলোর যেকোনো একটির মাধ্যমে ছবি ডিজাইন করতে পারেন।

ছবিগুলো আপনার মনের মতো করে বানাবেন যেভাবে আপনার মন চাই। ছবিগুলো হতে পারে একটি লোগো হিসেবে, কভার ফটো হিসেবে, গিগ এর জন্যে, ব্লগপোস্ট বা ইউটিউব ভিডিওর জন্যে ইত্যাদি। আর সেই ছবিগুলো তৈরি করে আপনি ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইভারের মতো মার্কেটপ্লেসে বিক্রয় করতে পারেন বা ছবি তৈরি করার জব পেতে পারেন। আর এভাবেই আপনি এখান থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

এয়ারড্রপ এর কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

এয়ারড্রপিং এর কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়, সেটি কি আপনি জানেন? না জানলে কোনো সমস্যা নেই আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়েও কথা বলবো, আশা করছি আপনার এখান থেকে উপকার হবে। এয়ারড্রপের কাজ করতে আপনার সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য। কেননা, এয়ারড্রপের কাজগুলো এমন একটি কাজ যেখান থেকে টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হয়।

ক্রিপ্টো কারেন্সির জগতে যখন কোনো নতুন ক্রিপ্টো কারেন্সি বা টোকেন এড হয় তখন তারা সেই টোকেন সম্পর্কে সবাইকে জানানোর জন্য, ইউজারকে আকৃষ্ট করার জন্য এবং বিশেষ করে কমিউনিটি বিল্ড করার জন্য মূলত তারা মার্কেটিং হিসেবে কিছু সহজ কাজের মাধ্যমে ইউজারদেরকে তাদের কিছু টোকেন প্রদান করে যার প্রাইস দিন দিন বাড়তে থাকে। আর ভাগ্য ভালো থাকলে পরবর্তীতে তার প্রাইস আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়।

কিন্তু এয়ারড্রপের কাজ করলে মনে রাখবেন, এই কাজ করার সাথে সাথে কখনো টাকা পাবেন না বরং যারা এয়ারড্রপ দিয়েছে তারা যেই তারিখ দিবে সেই তারিখ পর্যন্ত আপনাকে কাজ করতে হবে আর সেই মুহুর্তে কোনো টাকা পাবেন না। যেই তারিখ দিবে তারা সেই তারিখে পাবেন ১০০% গ্যারান্টি এরকম না, তারিখ তারা মাঝে মাঝে পরিবর্তনও করে। আর যখন টাকা উত্তোলনের সময় আসবে তখন তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে। airdrops.io, earndrop.io এবং coinmarketcap.com এর মতো আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি এয়ারড্রপের কোন কাজ এখন চলছে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং করতে পারবেন।

ফ্রিতে মাল্টি টাস্কিং ওয়েবসাইটে কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

ফ্রিতে মাল্টি টাস্কিং ওয়েবসাইটে কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে কি আপনি জানে? না জানলে চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে বিশ্বে এমন অনেক ওয়েবসাইট বের হয়েছে যেগুলো মাল্টি টাস্কিং অর্থাৎ ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকে। আর আপনি সেই অর্থ বিকাশ, বাইনান্স কিংবা কোনো ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

ফ্রিতে ইনকাম করা যাবে মাল্টি টাস্কিং এর মাধ্যমে এরকম কিছু ওয়েবসাইটের নাম হলো: ওয়ার্ক-আপ-জব, কয়েন-পে-ইউ, গিগ ক্লিকারস, এভাইসো, বাক্স মানি সহ ইত্যাদি এমন আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি চাইলে ইনকাম করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে মাল্টি টাস্কিং এর মাধ্যমে। যেই সাইটগুলোতে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই সাইটের নামের উপরে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন আর যেগুলোর নামের উপর ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে না, সেগুলোর ব্যাপারে নিচের পোস্টটিতে পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করে দেখে নিন।

আরও পড়ুন: ফ্রিতে ইনকাম করুন মাইক্রোজব ওয়েবসাইটে কাজ করে

মাল্টি টাস্কিং বলতে বোঝানো হচ্ছে, আপনি সাইটগুলো থেকে ভিডিও দেখে, ওয়েবসাইট ভিজিট করে, চ্যানেলে জয়েন হওয়া সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে যা করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো আমি এই সাইটগুলোর মধ্যে সব কয়টাতেই কাজ করেছি কিন্তু ওয়ার্ক-আপ-জব এবং কয়েন-পে-ইউ থেকে টাকা পেয়ে গেছি এবং বাকিগুলোতে এখনো কাজ করছি কেননা উত্তোলন করার মতো এমাউন্ট হয়নি। বাস্তব উদাহরণ এবং কোনগুলো ট্রাস্টেড এবং আমি কোনটাতে পেয়েছি কিভাবে পেয়েছি তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ওয়েবসাইট বানিয়ে এবং ক্রয়-বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

ওয়েবসাইট বানিয়ে এবং ক্রয়-বিক্রয় করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট একটি উপায় অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে। গুগলে কোনোকিছু সার্চ দেওয়ার পরে সেটার উত্তর জানার জন্য আমরা যেই সকল জায়গার ভিতরে প্রবেশ করে থাকি সেই সবকিছুই ওয়েবসাইট। প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট দেখতে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে, কোনো ওয়েবসাইটের রং আলাদা, কোনো ওয়েবসাইটের ডিজাইন আলাদা আবার কোনো ওয়েবসাইটের থিম, টেমপ্লেট, রং এবং ডিজাইন সবকিছুই আলাদা।

ওয়েবসাইট-বানিয়ে-এবং-ক্রয়-বিক্রয়-করে-মাসে-৩০-হাজার-টাকা-আয়

আপনি যদি ডিজাইনিং সম্পর্কে ভালো জানেন এবং পারেন তাহলে আপনি ওবেসাইট ডিজাইন করে, সুন্দর করে এবং আকর্ষণীয় লাগে এমনভাবে বানান। তাহলে যা হবে সেটা হলো: আপনার বানানো ওয়েবসাইট মানুষের চোখে লাগবে এবং মানুষজন সেই ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে চাইবে। যার ফলে আপনার বাউন্স রেট কম হবে, ভিউস টাইম বেশি হবে অর্থাৎ আপনার সেই সাইট থেকে ইনকাম হবে।

আপনি যদি সেখানে নিয়মিত পোস্ট লিখেন তাহলে আপনার এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম হবে। আর না হলে আপনি আপনার বানানো ওয়েবসাইটটি ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি সাইটগুলোর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট ধরে তাদের কাছে বিক্রয় করে দিতে পারেন। তাদের যদি আপনার কাজ অনেক পছন্দ হয় তাহলে আপনাকে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবেও নিয়োগ দিতে পারে। এইভাবেই আপনি ২ উপায়ে এখান থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এসইও করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

এসইও করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্পর্কে কি আপনি জানেন? না জানলে আজকে জেনে নিন এই বিষয়ে। এসইও এমন একটি সেক্টর বা কাজ যা এমন সকল ধরণের কাজে লাগে যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে করা হয় যেমন: আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, ইউটিউব বা ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং সহ এরকম আরো যেগুলো কাজ রয়েছে সেই সকল কাজে প্রয়োজন হয় এসইও এর।

কোনো ওয়েবসাইট কিংবা পোস্ট গুগলে র‌্যাংক করাতে, ফেসবুক এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর জন্য ভিডিও বানাতে এবং তা র‌্যাংক করাতে প্রয়োজন হয় এসইও করার। আর তাই জন্য এসইও এক্সপার্টদেরকে হায়ার করা হয় এগুলো কাজ সঠিকভাবে করানোর জন্য আর এর ডিমান্ডও প্রচুর আছে মার্কেটে। আপনি চাইলে ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস সাইটগুলো থেকে এসইও এর জব পেতে পারেন।

আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য এসইও এর নিয়মগুলো পেরে থাকেন তাহলে আপনি একটু বেশি লাভবান হতে পারেন। আর আপনি যদি এসইও সম্পর্কে সেরকম না জেনে থাকেন তাহলে কিংবা না পেরে থাকেন তাহলে আপনি ইউটিউব এবং চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিতে পারেন ফ্রিতে এসইও শিখার জন্য। এইভাবেই মূলত এসইও এর মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি।

আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। আর্টিকেল রাইটিং বলতে কোনো একটি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য লেখাকেই বলা হয়ে থাকে। আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য আপনার কয়েকটি বিষয়ের উপর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন এবং পারা প্রয়োজন। তার মধ্যে সর্বপ্রথমে বলা যায় অন্যদের লিখা আর্টিকেল কপি পেস্ট করা যাবে না অর্থাৎ আমি আমার একটি পোস্টে যা যা লিখেছি আপনি আপনার একটি পোস্টে তাই তাই লিখতে পারবেন না।

আমি যেই টপিকের উপরে পোস্ট লিখেছি সেই টপিকের উপরে আপনি পোস্ট লিখতে পারবেন কিন্তু টপিকের ভিতরে আমি যা যা লিখেছি সেগুলো এক্সাকলি কপি করে আপনার আর্টিকেলে পেস্ট করা যাবে না। আপনি যেই বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সেই বিষয়ে যদি আপনার কোনো আইডিয়া বা কোনো তথ্য জানা না থাকে তাহলে আপনি সেই সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, বই এবং চ্যাটজিপিটি থেকে জেনে নিন তারপরে নিজের মতো করে বানিয়ে লিখুন।

আরও পড়ুন: এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

তাহলে আর্টিকেল রাইটিং এ কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া এসইও অপটিমাইজ করে আর্টিকেল লিখুন তাহলে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সারের মতো মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার দক্ষতা বর্ণনা করে মাসিক ভিত্তিক ইনকাম করতে পারবেন, যার ফলে আপনার মাসে ইনকাম ১০০০০-৩০০০০ টাকা পর্যন্ত বা তারও বেশি হতে পারে।

ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়, সেটি কি আপনি জানেন? আপনি জেনে থাকেন কিংবা না জেনে থাকেন আমি আপনাকে “মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়” এই পোস্টের এই টপিকটি অবশ্যই একবার পড়বেন তাহলে আশা করছি আপনি কিছু এক্সট্রা তথ্য জানলেও জানতে পারেন আর যদি সেই তথ্যগুলোও আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি খুব সুন্দর করে এমন কোনো ভিডিও তৈরি করতে পারেন যা মানুষজন পছন্দ করবে এবং সেই ভিডিওটি আপনার ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করতে পারেন। তাহলে কম হোক আর বেশি আপনার ভিডিও মানুষজন অবশ্যই দেখবে আর যদি আপনার ভিডিও পছন্দ হয় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার কিংবা ফলোয়ার হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি আপনার চ্যানেল এবং পেইজ মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনি ভাবতে পারেন ফেসবুক এবং ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়? এর উত্তর বলার পূর্বে বলে দিই এই কথাটি এক্সাকলি বলা সম্ভব নয়, কেননা ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম আপনার ভিডিওর বিষয়, কোয়ালিটি এবং পপুলারিটির উপর নির্ভর করে। তাও ধারণা করা যায় ফেসবুকে ১ মিলিয়নে ২৫০ থেকে ১০০০ ডলার অর্থাৎ ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে আর ইউটিউবে ১০০০ থেকে ৫০০০ ডলার অর্থাৎ ১ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্তও হতে পারে। তবে এগুলো কম বেশি হতে পারে যা আপনার ভিডিও এর উপর নির্ভর করে।

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে কি আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে “মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়” পোস্টের এই টপিকটি আপনার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন জগতের মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম বা উপায় যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার কেন তারও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে একটি উপায়। ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটি কিংবা দুইটি সেক্টর নিয়ে গঠিত নয় বরং একাধিক সেক্টর নিয়ে গঠিত অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটির মধ্যেও রয়েছে অনেক কয়টি সেক্টর যেই সেক্টরগুলোর মধ্যে একটি সেক্টর ভালো করে শিখে সেখানে কাজ করেও ইনকাম করতে পারেন।

আবার আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভিতরে যে কয়টি সেক্টর আছে সব কয়টি কম্প্লিট করে মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আমি আমার এর আগের একটি পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং এর বেস্ট সেক্টর কোনটি হতে পারে আপনার জন্য সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি তাও আবার বাস্তব উদাহরণসহ, চাইলে আপনি সেই পোস্টটি গিয়ে পড়ে আসতে পারেন নিচে দেওয়া লিংক থেকে।

আরও পড়ুন: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানুন

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে কোনটি হতে পারে চলুন সেই সম্পর্কে একটু ধারণা নিয়ে আসা যাক। বাংলাদেশে করা যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কাজ করে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, “তাহলে সেই ওয়েবসাইটগুলোর নাম কি?” তাহলে চলুন আপনার মনের এই প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া যাক।

আমি এতক্ষণ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার যেই উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেই উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ বলা যায় মাইক্রোজব এর কাজ এবং এয়ারড্রপিং এর কাজ। আর এই কাজগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতেও করা যায় আবার চাইলে টাকা দিয়েও করা যায়। কিন্তু এই কাজগুলো অনেক সহজ যার ফলে এগুলো ইনকাম অনেক কম।

তবে আপনি যদি এই কাজগুলো মাসের মাসের মাস অনেক পরিশ্রম করে এবং ধৈর্য ধরে করতে পারেন তাহলে একটা সময় আপনি একটা সময় আপনার এগুলো কাজ থেকেও প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। তবে আপনি যদি তুলনামূলক দ্রুত ইনকাম পেতে চান এবং পরিশ্রম ও ধৈর্যও দিতে পারেন সেই কাজে তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করা বা অন্যান্য কাজসমূহ করাই ভালো হবে।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হোক কিংবা মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হোক আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে অনলাইন কাজে সফলতা পেতে চাইলে। আর শুধু পরিশ্রমই নয় আপনাকে ধের্য ধরেও কাজ করতে হবে। অধৈর্য হয়ে কাজ ছেড়ে দিলে সফলতাও আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই একবার বর্তমান সময়ে পরিশ্রম ও ধৈর্য দিন, তখন আপনাকে সফলতার কাছে যেতে হবে না বরং সফলতাই আপনার কাছে চলে আসবে।

মাসে-৫০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়

যা হোক এখন আসুন কথা বলি আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা কিভাবে উপার্জন করতে পারবেন। আমি এতক্ষণ যেগুলো উপায় নিয়ে কথা বলেছি সেগুলোর মধ্যে কোনোটি নিয়ে যদি আপনি কাজ করেন বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং, আর্টিকেল রাইটিং, ইউটিউব কিংবা ফেসবুক মার্কেটিং কিংবা ভিডিও আপলোড এর কাজ। আপনি যদি এই কাজগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন তাহলে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে এগুলোতে আপনাকে প্রথমে কয়েক মাস ধারণা করা যায় ৩ থেকে ৬ মাস বা ১ বছর (অবশ্যই আপনার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করবে) আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে কোনো পারিশ্রমিকের আশা না করে। তারপরে আপনি একদিন দেখবেন আপনার পরিশ্রমের ফল হিসেবে একদিন ইনকাম শুরু হয়ে গেছে আর এই ইনকাম সারা জীবন থাকবে কখনো বন্ধ হবে না আর তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে এবং একটা সময় আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১০ টি উপায় জানুন

সবশেষে আপনার জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কোনটি হতে পারে

আশা করছি আপনি আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং জানতে পেরেছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে। তাও আমি আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো যেটা আপনার উপকারে আসতে পারে। প্রথমত আপনি যদি টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সেটা হতে পারে এয়ারড্রপের কাজ এবং মাইক্রোজব সাইটে কাজ।

আর এই ২ টি মাধ্যমে আপনি কাজতো করতে পারবেন কিন্তু প্রথম প্রথম ইনকাম অনেক অল্প পরিমাণে আসবে। দ্বিতীয়ত আপনি যদি তুলনামূলক দ্রুত মাসে ৩০ হাজার টাকার ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে বিনা পারিশ্রমিকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে অন্যান্য কাজে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং, আর্টিকেল রাইটিং, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে।

তবে আপনি যেই কাজটিই করেন না কেন আপনাকে সব সময়ই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। অনেক মানুষ হয়তো অনেক কথা বলবে কিন্তু তাতে কান না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাবেন, দেখবেন সফলতা আসতে বাধ্য এবং সেই লোকগুলোর মুখও বন্ধ হয়ে যাবে যারা আপনাকে কথা শুনাচ্ছিল। কোনো সমস্যা থাকলে বা জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।

comment url