মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১০টি সেরা উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় মেয়েদের জন্য আত্মনির্ভর হওয়ার একটি সহজ সমাধান। তাই জন্য নারীদের ঘরে বসে কাজ করে টাকা ইনকামের ১০টি সেরা উপায় নিয়ে আজকে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।
নারীরা ঘরে বসে থেকে কোন কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবে এবং আত্মনির্ভর হতে পারবেন সেই সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই অবশ্যই এই পোস্টটি বিস্তারিত পড়ুন এবং জানুন ইনকাম করার কিছু উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহ
- মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
- ঘরে বসে পোশাক তৈরি করার মাধ্যমে
- ঘরে থেকে রান্না করার মাধ্যমে
- ঘরে থেকেই বাগান তৈরি করার মাধ্যমে
- ঘরে বসে সেলাই করার মাধ্যমে
- ঘরে বসে নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে
- ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ
- ঘরে বসে কোর্স তৈরি করার মাধ্যমে
- ঘরে থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে
- ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে
- উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক করার উপায়
- সবশেষে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার মতো অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে সেরা উপায়গুলো অর্থাৎ যেগুলো উপায় অবলম্বন করলে মেয়েরা সহজেই ঘরে বসে কাজ করে ইনকাম করতে পারবে, সেগুলো আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হবে।
আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং ঘরে বসে কাজ করে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য অনেক উপকৃত হতে পারে। আজকের এই পোস্টে কয়েক ধরণের উপায় এর কথা বলা হবে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে আয় করার ৮টি সেরা উপায়
যেমন ধরুণ, আপনি বাড়ি থেকেই বাহ্যিক কাজের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করবেন, অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন এবং অনলাইন+অফলাইন কাজ করে অর্থাৎ দুইটি মিলিয়ে আপনি একটু বেশি টাকা কিভাবে ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কেও জানানো হবে আজকের এই পোস্টে।
ঘরে বসে পোশাক তৈরি করার মাধ্যমে
ঘরে বসে পোশাক তৈরি করার মাধ্যমে মেয়েরা সহজেই ইনকাম করতে পারেন। কেননা, বেশির ভাগ মেয়ে মানুষই বর্তমানে পোশাক তৈরি করতে পারে। আর নিজের হয়তো কেউ কেউ তৈরিও করে আবার কেউ কেউ সেইভাবে তৈরি করে না কিন্তু তৈরি করা জানে।
আপনি যদি একজন মেয়ে মানুষ হয়ে থাকেন এবং এই বিদ্যা জেনে থাকেন তাহলে আপনি এর মাধ্যমেই খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ঘরে বসে পোশাক তৈরি করে তা মানুষের কাছে, বিভিন্ন দোকানে বা শপিং মলে সেল করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি তার জন্য নিজে যেতে নাও চান তাহলে অন্য কাউকে পাঠালেন বা আপনি একটি কর্মচারী রেখে তাকে দিয়ে এই কাজটি করালেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে ঘরের বাহিরে যেতে হবে না। আর এই কাজটিকে আপনি অনলাইন ভিত্তিকও করতে পারেন যা আমি এই পোস্টের শেষে আলোচনা করবো।
ঘরে থেকে রান্না করার মাধ্যমে
ঘরে থেকে রান্না করার মাধ্যমেও আপনি ইনকাম শুরু করতে পারেন। মজার বিষয় হলো আপনি ঘরে থেকে রান্না করে দুইভাবে ইনকাম করতে পারেন। প্রথমটি হলো খাবার রান্না করে কোনো বাড়িতে বা অফিসের কর্মীদেরকে টিফিন হিসেবে বিক্রয় করা, যা বর্তমানে অনেকেই করছে ঘরে থেকে।
আরেকটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ আপনি যে খাবার বানাচ্ছেন সেটার ভিডিও বানানো অর্থাৎ ব্লগ বানানো। আবার আপনি বিশেষ কোনো রেসিপি শেয়ার করতে পারেন ইউটিউব এবং ফেসবুকে। এর ফলে আপনি তাদের মনিটাইজেশন পলিসি অনুযায়ী আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করে সেই ভিডিওগুলো থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এখন কোনটাতে কত টাকা ইনকাম হবে কিংবা কোনভাবে ইনকাম করার চেষ্টা করলে আপনার ইনকাম বেশি আসবে, সেটা আমরা এই পোস্টের শেষের দিকে আলোচনা করবো। তাই জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জানুন বিস্তারিত।
ঘরে থেকেই বাগান তৈরি করার মাধ্যমে
ঘরে থেকেই বাগান তৈরি করার মাধ্যমেও আপনি ইনকাম শুরু করতে পারেন। আপনি আপনার বাসার কোনো ফাকা জায়গায় বিভিন্ন ফল, ফুল বা শাক-সবজির বীজ লাগিয়ে একটি ছোট-খাটো বাগান বানিয়ে ফেলতে পারেন।
তারপরে সেই বাগানে ধরা টাটকা ও ফ্রেশ ফল, ফুল এবং শাক-সবজি বাজারে বিক্রয় করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া এখনতো বিভিন্ন মল যেমন: বিগ বাজার, ওমর প্লাজা সহ বিভিন্ন মলেও শাক-সবজি বিক্রয় করে।
আপনি চাইলে বাজারের থেকে কিন্তু আপনার লাভ হবে এরকম একটি মূল্য ধরে সেই মলগুলোতেও বিক্রয় করতে পারেন আর এই কাজগুলো নিজে করতে না চাইলে কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন কিছু টাকার বিনিময়ে। তাহলে আপনি এখান থেকেও ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
ঘরে বসে সেলাই করার মাধ্যমে
আপনি ঘরে বসে সেলাই করার মাধ্যমেও শুরু করতে পারেন ইনকাম। প্রায়ই সকল মেয়েরাই সেলাই করতে পারে এবং নিজের বাড়িতে নিজের জামা-কাপড়ের ছোট-খাটো সেলাই করেও থাকে। আপনিও যদি এমন একজন হয়ে থাকেন যে, সেলাই করতে পারে এবং এখানে খুব ভালো না হলেও কিছুটা এক্সপার্ট তারা বসে না থেকে শুরু করে দিন ইনকাম।
এমন অনেক বাড়ি বা মানুষ রয়েছে যারা সেলাই করতে পারেনা কিংবা তাদের হাতে সময় থাকে না সেলাই করার মতো। আর তারাও এমন টেইলার্স বা দোকান খুঁজে থাকে যারা তাদের জামা-কাপড় সেলাই করে দিবে। এখন আপনি যদি সেলাই করার কাজটি শুরু করে দেন এবং মানুষজন আপনাকে দেখতে পাই সেলাই করতে।
তাহলে তারা আপনার কাছ থেকেও সেলাই করিয়ে নিবে আর আপনি তার বদলে টাকা নিবেন। বর্তমানে এই ব্যবসা অনেকেই করছে। চাইলে আপনিও করতে পারেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। আর কাজটি শুরু করার পরে বেশি থেকে বেশি মানুষকে জানানোর জন্য অনলাইনের সাহায্য নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি জানুন বিস্তারিত
ঘরে বসে নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে
ঘরে বসে নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম কিভাবে করে তা জানার পূর্বে আসুন জেনে নিই নকশি কাঁথা কি সেই সম্পর্কে। নকশি নকশি কাঁথা হলো একটি ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, যা মানুষ নিজের হাতে এটি তৈরি করে থাকে।
একটি পুরাতন কাপড়ের উপরে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন যেমন: ময়ূর, গাছ-পালা, নৌকা, নকশা সহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করা থাকতো সেই কাপড়ে। শুধু যে ডিজাইন করা থাকতো তাই নয়, আগে মানুষজন যখন এই নকশি কাঁথা তৈরি করতো তখন সেখানে তাদের ডিজাইন দেখে তাদের দুঃখ, কষ্ট, সুখ, আনন্দ সহ তাদের আবেগ বোঝা যেতো।
এক কথায় তারা সেখানে ডিজাইন তৈরি করার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতো। কিন্তু বর্তমানে নকশা তৈরি করা এই কাপড় বা কাঁথাগুলো প্রায়ই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাই বলে এই নয় যে মানুষজন এখন এটাকে আর পছন্দ করে না! মানুষজন এখনো নকশি কাঁথাকে অনেক পছন্দ এবং যেখানেই দেখতে পাই কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়ে।
নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম
আপনি যদি একজন মেয়ে মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও এই ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে দুইটি কাজ করতে পারেন। একটি হচ্ছে, আপনি নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।
আর আরেকটি কাজ হচ্ছে, আপনার ইনকাম শুরু করতে পারেন এর মাধ্যমে। যেহেতু এটি প্রায়ই দেখাই যায় না বললেই চলে তাই আপনি এই সময় নকশি কাঁথা তৈরি করার মাধ্যমে বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই
নারীদের ঘরে বসে কাজ করার জন্য এই কাজটি সেরা একটি কাজে পরিণত হতে পারে যদি আপনি করতে পারেন তাহলে। তাই জন্য আজকে থেকেই শুরু করে দিন নকশি কাঁথা বানানোর প্রক্রিয়া এবং তা বিভিন্ন দোকানে, মলে কিংবা অনলাইনে বিক্রয় করার মাধ্যমে শুরু করে দিন ইনকামও।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করেও আপনি ইনকাম শুরু করতে পারেন। আর এর জন্য আপনার কোনো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার প্রয়োজন হবে না, এর জন্য প্রয়োজন হবে সুন্দর করে প্যাকেজিং করার মতো টেকনিক এবং কিছু অবসর সময় যে সময় আপনি কাজটি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সহ আরও অনেক দেশে এমন অনেক কোম্পানি, দোকান বা কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টার রয়েছে যেখানে ঘরে বসে প্যাকিং করার কাজ পাওয়া যায়। যদিও এই ধরণের কাজ সহজে পাওয়া যায় না, তবুও আপনি যদি একটু খোজাখুঁজি করেন তাহলেই এই ধরণের চাকরী খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজে মূলত মাসিক হিসেবে টাকা খুব কম মানুষই দেয়। বেশির ভাগ সময় পিস হিসেবে দেই অর্থাৎ একটি প্রোডাক্ট প্যাকেজিং করলে ৫ টাকার মতো, সেই হিসেবে আপনি যদি দিনে ২০০ টিও প্যাকেজিং করতে পারেন তাহলে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে কোর্স তৈরি করার মাধ্যমে
ঘরে বসে কোর্স তৈরি করার মাধ্যমেও ইনকাম করা যায় লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে, কিসের কোর্স তৈরি করবেন, কিভাবে করবেন, কিভাবে এই কোর্সের মাধ্যমে ইনকাম করবেন এই সবকিছু। তাহলে চলুন এই সবকিছু সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যদি অল্প কথায় বলি তাহলে আপনি যা কিছু পারেন সেটা নিয়েই কোনো কোর্স তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি রান্না পারেন, ফটোশপের কাজ পারেন, আর্টিকেল রাইটিং পারেন কিংবা কোনো একাডেমিক সাবজেক্টের উপরে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন এবং তা পড়াতে পারেন, তাহলে আপনি সেই বিষয় নিয়েই কোর্স তৈরি করতে পারেন।
প্রথম প্রথম আপনি অনলাইনে ফ্রিতে কোর্স তৈরি করার মাধ্যমে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন এবং আপনার ফলোয়ার বেশি হওয়ার পরে সেই কোর্সটির একটি মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। তাহলে আপনি মাসে একসময় লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন আর এটি হতে পারে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় এর মধ্যে সেরা একটি উপায়।
ঘরে থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে
ঘরে থেকে ইউটিউবের মাধ্যমেও আপনি শুরু করতে পারেন ইনকাম। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন ধরণের ভিডিও পাবলিশ করার মাধ্যমে সেখান থেকে একটিভ কিংবা প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য চলুন প্রথমে জেনে নিই আপনি কোন কোন ভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন?
ইউটিউবে আপনি ২ ভাবে ইনকাম করতে পারেন একটি হচ্ছে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে এবং আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির এড দেখানোর মাধ্যমে। আর আপনি দুইটির মধ্যে যেই উপায়েই ইনকাম করেন না কেন আপনার প্রয়োজন হবে ভিডিও অর্থাৎ আপনাকে ইউটিউবে আপনার বানানো ভিডিও পাবলিশ করতে হবে।
সেই ভিডিওগুলো হতে পারে কোনো গেমের উপর, সফটওয়্যার টেস্টিং এর উপর কিংবা ব্লগিং আরও অনেক ধরণের ক্যাটাগরি আছে যার উপর ভিত্তি করে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। আপনি সেই ভিডিওগুলো মনিটাইজ করে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন কিংবা সেই ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির এড দেওয়ার মাধ্যমে সেই কোম্পানির কাছ থেকে আয় করতে পারেন। যেটাই করেন না কেন পরিশ্রম করলে এবং সময় দিতে পারলে ইনকাম অবশ্যই হবে।
ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে
ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে একটিভ কিংবা প্যাসিভ ভাবে ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং করে একটিভ ইনকাম করতে চান অর্থাৎ একটি কাজ করবেন এবং একটির টাকা নিবেন এরকমভাবে ইনকাম করতে চান।
তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সার, আপ ওয়ার্ক এবং ফাইভার এর মতো সাইটে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং এসইও অপটিমাইজেশন করে আর্টিকেল বা পোস্ট লিখতে হবে, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে সেই পোস্টের জন্য টাকা দিবে। আর এভাবেই আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে একটিভ ইনকাম করতে পারবেন।
আর আপনি যদি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো খরচ করে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন এবং সেখানে প্রতিদিন যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখতে পারেন এসইও অপটিমাইজ সহ সকল নিয়ম-কানুন মেনে, তাহলে আপনি ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন। আর এই ইনকাম কখনো কমে না বরং কাজ করলে আরও বৃদ্ধি পায়।
উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক করার উপায়
এখন আসুন জেনে নিই মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলো কিভাবে অনলাইন বা অফলাইন ভিত্তিক করা যাবে সেই সম্পর্কে। এখন পর্যন্ত আমি আপনাকে যেগুলো কাজের কথা বললাম সবগুলোই আপনি চাইলে অনলাইন বা অফলাইন ভিত্তিক করে কিংবা উভয় মাধ্যম কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারবেন। রান্না করা, সেলাই করা, পোশাক তৈরি করাসহ আরও এই ধরণের যেই কাজগুলো আছে সেই সবই মূলত অফলাইন ভিত্তিক কাজ।
কিন্তু আপনি যদি এগুলো অনলাইন ভিত্তিক করতে চান তাহলে এগুলো বিষয়ে কোনো ওয়েবসাইটে, ফেসবুকে কিংবা ইউটিউবে এড দিতে পারেন যেন আপনার বিক্রয় বেশি কিংবা এইগুলো আপনি কিভাবে করেন সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার মাধ্যমে ভিউস, ফলোয়ারস বাড়িয়ে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
আবার বাকি যেই অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো রয়েছে সেগুলো আপনি অফলাইন ভিত্তিকও করতে পারেন। যদি আপনি বাহিরে গিয়ে কাজ করার ব্লগ তৈরি করেন, বাহিরের মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে পারেন, বাহিরে গিয়ে শারীরিকভাবে কষ্ট করে যদি মানুষজনকে আপনার সাথে কাজ করতে কিংবা আপনার কাজ বেশি বেশি ছড়িয়ে দেওয়াতে আগ্রহ করে তুলতে পারেন, তাহলেই এটা হয়ে যায় অফলাইন ভিত্তিক কাজ।
আরও পড়ুন: অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
সবশেষে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং জানতে পেরেছেন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে। এখন আমি আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে যা আপনাকে আপনার ইনকাম বাড়াতে অনেকটা সহায়তা করতে পারে।
প্রথমত আপনি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলোর মধ্যে যেটিই অবলম্বন করেন না কেন প্রত্যেকটি নিয়ম সঠিকভাবে পালন করে কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত যদি অনলাইন কোনো কজ করতে চান তাহলে যদি তার এসইও অপটিমাইজড করা লাগে তাহলে সেটিও ভালোভাবে করতে হবে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনি যদি উল্লিখিত কাজগুলোতে সফলতা পেতে চান বিশেষ করে অনলাইন কাজে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য সহকারে কাজ করতে হবে। আপনি যদি ধৈর্য্য সহকারে এবং সময় দিয়ে কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনার পক্ষে অনলাইন সেক্টরে ইনকাম শুরু করা অনেক কঠিন হয়ে যেতে পারে, তাই অবশ্যই সঠিক নিয়মে কাজ করবেন তাহলে সফলতা আপনারই হবে।
ইউনিক আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কেননা কমেন্ট চেক করা হয়।
comment url